ছাত্রদলের সভাপতি প্রার্থী রওনকুলের সঙ্গে সম্পর্ক নেই, বললেন তাঁর বাবা

ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি পদপ্রার্থী রওনকুল ইসলামের বাবা রফিকুল ইসলামের সংবাদ সম্মেলন। যশোর প্রেসক্লাব, ১১ সেপ্টেম্বর। ছবি: এহসান-উদ-দৌলা
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি পদপ্রার্থী রওনকুল ইসলামের বাবা রফিকুল ইসলামের সংবাদ সম্মেলন। যশোর প্রেসক্লাব, ১১ সেপ্টেম্বর। ছবি: এহসান-উদ-দৌলা

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি প্রার্থী কাজী রওনকুল ইসলামের সঙ্গে পরিবারের সদস্যদের কোনো সম্পর্ক নেই দাবি করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তাঁর বাবা কাজী রফিকুল ইসলাম। আজ বুধবার দুপুরে প্রেসক্লাব যশোর মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলন করে তিনি এ দাবি করেন।

যশোর জেলা আওয়ামী লীগের মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক কাজী রফিকুল ইসলাম একই সঙ্গে জেলার কেশবপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলার আওয়ামী লীগের সহসভাপতি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে তিনি এবার উপজেলা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন।

লিখিত বক্তব্যে রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ও আমার পরিবারের সবাই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। শুধু ছোট ছেলে রওনকুল বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। কাজী রওনকুল আমার সন্তান হলেও রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে আমাদের পরিবারের কারও সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পর্ক নেই। কোনো যোগাযোগ নেই। নিজের আয়ে সে চলে। পারিবারিক বিয়ে বা কোনো অনুষ্ঠানাদিতেও আসে না। আমরাও তাঁর কাছে যাই না। কিন্তু আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের লোকজন বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে।’

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়েছে, রওনকুল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার পর থেকে ছাত্রদলের রাজনীতি সঙ্গে যুক্ত হয়। বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে তাঁর পরিবারের কোনো সম্পর্ক নেই। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গেও রওনকুলের কোনো সম্পর্ক নেই।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেশবপুর উপজেলা ইউনিটের সাবেক কমান্ডার মোহাম্মদ আলী, কাজী রফিকুল ইসলামের প্রথম ছেলে কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মুস্তাফিজুল ইসলাম, দ্বিতীয় ছেলে কেশবপুর উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও কেশবপুর সরকারি কলেজের প্রভাষক কাজী মুজাহিদুল ইসলাম এবং চতুর্থ ছেলে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কাজী আযহারুল ইসলাম।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কাজী রওনকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি কেশবপুর কলেজে উচ্চ মাধ্যমিকে পড়ার সময় থেকেই জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। রাজনৈতিক আদর্শের কারণে আমি আমার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ রাখি না।’