রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী জাহাজের সুরক্ষায় সংসদে বিল উত্থাপন

জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি
জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি

রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী জাহাজের সুরক্ষায় নতুন আইন করতে সংসদে বিল তোলা হয়েছে। বুধবার বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ (সুরক্ষা) বিল-২০১৯ সংসদে উত্থাপন করেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

উচ্চ আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী সামরিক আমলের আইনকে বাংলায় রূপান্তর করে নতুন আইন করতে এই বিল তোলা হয়েছে। উত্থাপনের পর বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিলে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্যে যেসব পণ্য সমুদ্রপথে পরিবহন করা হয়, সেসব পণ্যের সর্বনিম্ন ৫০ শতাংশ বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজে পরিবহন করতে হবে। কোনো জাহাজ এ আইনের কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে ওই জাহাজকে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা পর্যন্ত প্রশাসনিক জরিমানা করা হবে।

১৯৮২ সালের এ–সংক্রান্ত অধ্যাদেশ অনুযায়ী সমুদ্রপথে পরিবাহিত পণ্যের ৪০ শতাংশ বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজে পরিবহনের বিধান ছিল। তবে ওই অধ্যাদেশে জরিমানার পরিমাণ নির্ধারণ করা ছিল না।

প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজ নয়—এমন কোনো বিদেশি জাহাজ দিয়ে উপকূলীয় অঞ্চলে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক পণ্য পরিবহন করা যাবে না।

শুল্ক ফাঁকির তথ্য দিলে পুরস্কার
আন্তর্জাতিকভাবে গৃহীত কাস্টমস ব্যবস্থাপনা–সংক্রান্ত বিধিবিধান সন্নিবেশিত করে ১৯৬৯ সালের এ–সংক্রান্ত আইন হালনাগাদ করতে সংসদে কাস্টমস বিল-২০১৯ উত্থাপিত হয়েছে। বিলটি উত্থাপন করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। পরে বিলটি পরীক্ষা করে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়।

বিলে বলা হয়েছে, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সঙ্গে পরামর্শ করে সরকার বিধি প্রণয়ন করতে পারবে।

প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি, কোনো পণ্যের কাস্টমস শুল্ক নির্ধারণের উদ্দেশ্যে সংশ্লিষ্ট পণ্যের ট্যারিফ শ্রেণীকরণ ও অরিজিন বিষয়ে, অগ্রিম রুলিং চেয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কাছে আবেদন করতে পারবে। বোর্ড সে অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট বিষয়ে রুলিং দিতে পারবে। শুল্ক ফাঁকি বা আইন লঙ্ঘনের বিষয়ে কোনো ব্যক্তি কর্তৃপক্ষকে খবর দিলে রাজস্ব বোর্ড তাকে পুরস্কার দিতে পারবে।

শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র বিল
এর আগে শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র বিল-২০১৯ সংসদে উত্থাপন করেন। পরে বিলটি পরীক্ষা করে ৩০ দিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য শিল্প মন্ত্রণালয়–সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। ১৯৬২ সালের এ–সংক্রান্ত ‘রেজল্যুশন’ বাতিল করে নতুন আইন করতে বিলটি তোলা হয়েছে।

মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট (সংশোধন) বিল পাস
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট সংশোধন বিল-২০১৯ বুধবার সংসদে পাস হয়েছে। বিলটি পাসের জন্য সংসদে উত্থাপন করেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী। এর আগে বিলের ওপর দেওয়া জনমত যাচাই–বাছাই কমিটিতে পাঠানো, ও সংশোধনী প্রস্তাবগুলোর নিষ্পত্তি করেন স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী।