জলপাইয়ের লোভ দেখিয়ে চার শিশুকে ধর্ষণের কথা স্বীকার

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বগুড়ার ধুনটে জলপাইয়ের লোভ দেখিয়ে দুই দিনে চার শিশুকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন জয়নাল আবেদিন। গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় বগুড়ার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম শহিদুল ইসলামের আদালতে তিনি এই জবানবন্দি দেন।

জয়নাল আবেদিন (৫৫) পেশায় ভ্যানচালক। তাঁর দুই ছেলে ও এক মেয়ে আছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জয়নাল আবেদিনের স্ত্রী তাঁর মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে গেছেন। এই দম্পতির দুই ছেলে ঢাকায় থাকেন। জয়নাল বাড়িতে একাই ছিলেন। ওই চার শিশু তাঁর প্রতিবেশী। চার শিশুর মধ্যে দুজন তৃতীয় শ্রেণির এবং দুজন প্রথম শ্রেণির ছাত্রী। প্রতিদিনের মতো গত শুক্রবার দুপুরের দিকে তৃতীয় শ্রেণির দুই ছাত্রী তাঁর বাড়িতে জলপাই কুড়াতে যায়। এ সময় বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে তিনি ওই দুই শিশুকে জলপাই খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করেন।

এরপর গত রোববার দুপুরের দিকে প্রথম শ্রেণির দুই ছাত্রী জয়নালের বাড়িতে জলপাই কুড়াতে যায়। একই লোভ দেখিয়ে তিনি ওই দুই শিশুকে ধর্ষণ করেন। এই ঘটনার পর শিশু চারটি ভয়ে-আতঙ্কে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বাবা-মা তাদের সঙ্গে কথা বলে ধর্ষণের বিষয়ে জানতে পারেন। তখন চার শিশুর বাবা-মা জয়নালের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান হারুন-অর রশিদের কাছে যান। চেয়ারম্যানের অভিযোগের ভিত্তিতে গত মঙ্গলবার সকালে জয়নালকে পুলিশ আটক করে।

চার শিশুর বাবা বাদী হয়ে জয়নাল আবেদিনের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি ধর্ষণের মামলা করেন। এসব মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে জয়নালকে গতকাল আদালতে পাঠানো হয়। এ সময় তিনি ধর্ষণের কথা স্বীকার করে জবানবন্দি দেন।

ধুনট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, জয়নাল জলপাই খাওয়ানোর লোভ দেখিয়ে দুই দিনে চার শিশুকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। ফলে আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর চার শিশুকে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষা এবং আদালতে জবানবন্দি শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।