১০ বছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশ শীর্ষে: অর্থমন্ত্রী

আ হ ম মুস্তফা কামাল । ফাইল ছবি
আ হ ম মুস্তফা কামাল । ফাইল ছবি

গত ১০ বছরে বিশ্বের জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশের অবস্থান ১ নম্বরে। এই সময়ে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১৮৮ শতাংশ। বৃহস্পতিবার সংসদের ৩০০ বিধিতে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। 

অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রাজ্ঞ ও গতিশীল নেতৃত্ব এবং রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা থাকায় জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে বাংলাদেশ বিশ্বে শীর্ষ অবস্থান করছে। আমরা গত ১০ বছর অর্থনীতিতে ধারাবাহিকভাবে উন্নতি করেছি। যে কারণে বিশ্বের অর্থনীতির আঙিনায় এক অনন্য উচ্চতায় উন্নীত হয়েছি। বিশ্বব্যাংক, এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলসহ বিশ্বের অনেক গবেষণা প্রতিষ্ঠান আমাদের অর্থনীতির উন্নয়নের বিষয়ে উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করে চলছে।

মুস্তফা কামাল বলেন, বিশ্বের শীর্ষ স্বল্পোন্নত দেশের জিডিপির প্রবৃদ্ধি নিয়ে গত ২৮ আগস্ট দ্য স্পেক্টেটর ইনডেক্স একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে দেখা যায়, গত ১০ বছরে সারা বিশ্বের জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি অর্জনে বাংলাদেশের অবস্থান ১ নম্বরে। এই সময়ে প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে ১৮৮ শতাংশ। একই সময়ে বিশ্বের প্রথম সারির অন্যান্য দেশের, যেমন চীনের প্রবৃদ্ধি ছিল ১৭৭ শতাংশ, ভারতের ১১৭ শতাংশ, ব্রাজিলের ৯৭ শতাংশ এবং ইন্দোনেশিয়ার ৯০ শতাংশ। অন্যদের অবস্থান আরও অনেক পেছনে।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক অতি সম্প্রতি একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আমাদের জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি হবে শতকরা ৮ ভাগ, যা হবে এশিয়া মহাদেশের সব দেশের ওপরে। বিশ্বব্যাংকের একটি তথ্য–উপাত্তের ওপরে যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইকনোমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ ৪১তম অর্থনীতির দেশ থেকে ২০২৩ সালে ৩৬তম অবস্থান যাবে। আর ২০২৮ সালে অবস্থান হবে ২৭তম এবং ২০৩৩ সালে হবে ২৪তম। সেই সময় আমাদের জিডিপিতে প্রবৃদ্ধির আকার হবে ১ ট্রিলিয়ন ডলার।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, সম্প্রতি স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক বৈশ্বিক প্রধান অর্থনীতিবিদ ডেবিড ম্যাগ তাঁর গবেষণা তথ্য এবং আইএমএফের তথ্য–উপাত্ত ব্যবহার করে দেখেছেন ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশের মাথাপিছু আয় হবে ভারতের চেয়ে বেশি। ২০৩০ সালে বাংলাদেশর মানুষের মাথাপিছু জিডিপি দাঁড়াবে ৫ হাজার ৭০০ মার্কিন ডলার। আর তখন ভারতের মাথাপিছু জিডিপি দাঁড়াবে ৫ হাজার ৪০০ মার্কিন ডলার।