প্রতারণার অভিযোগে তিন জন আটক
অবসরপ্রাপ্ত মেজর পরিচয় দিয়ে প্রতারণার অভিযোগে রাজধানীর আদাবরে সৈয়দ আবু জাফর নামে এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। তাঁর সঙ্গে তাঁর স্ত্রী শিল্পী আক্তার ও জামাতা সৈয়দ মাসুম আল হোসেনকেও আটক করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে দুই দফায় আদাবরের ৯ নম্বর রোডের একটি বাসা থেকে তাঁদের আটক করা হয়।
আবু জাফরের ছেলে সৈয়দ শামসুল আরেফিন অভিযোগ করেছেন, ডিবি কর্মকর্তারা তাঁর বাবার জমিজমার মূল দলিল, ১৫টি মুঠোফোন সেট ও নগদ দুই লাখ টাকাও নিয়ে গেছেন।
শামসুল আরেফিনের ভাষ্য, রাত ১১টার দিকে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি তাঁদের বাসায় যান। এঁদের মধ্যে জহির ও মফিজুল নামের দুজন ব্যক্তি ডিবির এসআই পরিচয় দেন। তাঁদের সঙ্গে একজন নারীও ছিলেন। তাঁরা জানান, ২০১৩ সালের একটি মামলায় সৈয়দ আবু জাফরকে আটক করা হবে। এ সময় শামসুল আরেফিন আটকের কাগজ দেখতে চাইলে জহির তাঁর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বাসা তছনছ করে জমিজমার দলিল, দুই লাখ টাকা ও মুঠোফোন সেট নিয়ে নেন। যাওয়ার সময় তাঁরা সৈয়দ আবু জাফর ও তাঁর মেয়ের স্বামী সৈয়দ মাসুম আল হোসেনকে ধরে নিয়ে যান।
এরপর রাত তিনটার দিকে তাঁরা আবারও তাঁদের বাসায় যান। সে সময় বাসার সামনে গণম্যাধ্যমের কয়েকজন কর্মী উপস্থিত থাকায় তাঁরা দ্রুত আবু জাফরের স্ত্রীকে ধরে নিয়ে যান।
শামসুল আরেফিন অভিযোগ করেন, আজ বুধবার ভোর ছয়টার দিকে এসআই জহির তাঁকে ফোন করে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে ডিবি কার্যালয়ে ডাকেন। টাকা নিয়ে গেলে তাঁর বাবা, মা ও দুলাভাইকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানান ডিবির ওই কর্মকর্তা।
শামসুল আরেফিন দাবি করেন, গুলশান ২ নম্বর এলাকায় তাঁদের প্রায় ২২ কাঠা জমি আছে। যার বর্তমান মূল্য প্রায় ২১০ কোটি টাকা। এই জমি হাতিয়ে নিতে রাজনৈতিক নেতারা তাঁদের চাপ দিয়ে আসছিলেন। এসব কারণে তাঁর বাবা-মা ও দুলাভাইকে ধরে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে বলে দাবি করেন তিনি। তিনি বলেন, আজ সকালে আদাবর থানায় এ বিষয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে গেলে তা নেয়নি পুলিশ।
ঢাকা মহানগর ডিবির উপ-কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় প্রথম আলোকে বলেন, নিজেকে মেজর বলে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন লোকজনের কাছ থেকে টাকা আত্মসাত্ করেছেন সৈয়দ আবু জাফর।