রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট তৈরিতে সহযোগিতা, মামলা

অবৈধভাবে জন্মনিবন্ধন করে রোহিঙ্গাদের পাসপোর্ট তৈরিতে সহযোগিতার অভিযোগে ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে র‌্যাব-২। র‌্যাব-২–এর উপপরিদর্শক (এসআই) খায়রুল হাসান বাদী হয়ে শুক্রবার রাতে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ওই মামলাটি করেন।

আসামিদের মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অফিস সহকারীসহ সাতজন আছেন। এর মধ্যে ১১ আসামি পালাতক আছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হয়েছে।

মামলার আসামিরা হলেন নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার ফনকুল এলাকার বাসিন্দা কম্পিউটার অপারেটর আজিম আহমেদ, দনিয়া এলাকার ফজলুল করিম, সবুজবাগ এলাকার বাসিন্দা ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অফিস সহকারী মাঈন উদ্দিন ও রাজধানীর পশ্চিম নাখালপাড়া এলাকার বাসিন্দা জাহাঙ্গীর হোসেন, সোনারগাঁ উপজেলা বৈদ্যারবাজার এলাকার সাইফুল ইসলাম, নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর ভবদেবপাড়া এলাকার কুল্লাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সচিব ও উদ্যোক্তা সদস্য মামুন অর রশীদ, রাজধানীর মেরুল বাড্ডা এলাকার উদ্যোক্তা সদস্য শারমিন আক্তার। পলাতক আসামি হিসেবে আরও ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা অবৈধভাবে জন্মনিবন্ধন সংগ্রহ করে ১৩ থেকে ১৪ রোহিঙ্গাকে পাসপোর্ট তৈরিতে সহযোগিতা করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজশে ডিজিটাল বা ইলেকট্রনিক মাধ্যম ব্যবহার করে প্রতারণা, জন্মসনদ নিবন্ধনের জাতীয় তথ্য ভান্ডারে অন্যায়ভাবে প্রবেশ, প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে।

এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ফারুক প্রথম আলোকে বলেন, আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়েছে।