নিজ দলের কর্মী খুনের মামলায় জামিনে মুক্ত আ.লীগ নেতা দিদারুল

চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম

নিজ দলের কর্মী খুনের মামলায় চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা দিদারুল আলম জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। গ্রেপ্তারের ৪২ দিন পর আজ রোববার বিকেলে চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে তিনি জামিনে মুক্তি পান।

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগারের কারাধ্যক্ষ নাশির আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, উচ্চ আদালত থেকে দিদারুলের জামিননামা আসার পর এটি যাচাই-বাছাই করা হয়। পরে রোববার বিকেলে তাঁকে মুক্তি দেওয়া হয়।

এ দিকে আজ বিকেলে চট্টগ্রাম কারা ফটকে ভিড় করেন দিদারুলের সমর্থকেরা। এতে সাধারণ বন্দীদের স্বজনেরা বেকায়দায় পড়ার অভিযোগ করেন।

গত ৪ আগস্ট ঢাকার বনানী থেকে দিদারুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। পরে তাঁকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয়। গ্রেপ্তারের পর হাকিম আদালতে তাঁর জামিনের আবেদন করা হয়। সেখানে নাকচ হওয়ার পর মহানগর দায়রা জজ আদালতে আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী ২৯ আগস্ট। সেখানে নাকচ হওয়ায় পর তাঁরা উচ্চ আদালতে যান। দিদারুল নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।

নগর ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সুদীপ্ত বিশ্বাসকে খুনের নির্দেশদাতা ও পরিকল্পনাকারী ‘বড় ভাই’ হিসেবে দিদারুলের নাম উঠে আসে ছাত্রলীগ কর্মী মিজানুর রহমানের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে। ১২ জুলাই চট্টগ্রাম মহানগর হাকিম সারোয়ার জাহানের আদালতে এই জবানবন্দি দেন তিনি। ২০১৭ সালের ৬ অক্টোবর নগরের সদরঘাট থানার দক্ষিণ নালাপাড়ার বাসা থেকে ডেকে নিয়ে সুদীপ্তকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়। তিনি আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক অধিশাখা-৪-এর উপসচিব আবদুল জলিলের গত ৩১ জুলাই সই করা চিঠি চট্টগ্রামে এসে পৌঁছার পর পুলিশ দিদারুলের ব্যবহার করা দুটি অস্ত্র জব্দ করে গত শনিবার। এর আগে এলাকায় চাঁদাবাজি, ভয় দেখানোসহ বৈধ অস্ত্রের অবৈধ ব্যবহার করার অভিযোগে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়।