রোহিঙ্গাদের এনআইডি: মামলার পর ইসি কর্মচারীকে বরখাস্ত

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

রোহিঙ্গাদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেওয়ার অভিযোগে করা মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ডবলমুরিং থানা নির্বাচন কার্যালয়ের অফিস সহায়ক জয়নাল আবেদিনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিবালয়। আজ মঙ্গলবার সকালে ইসি উপসচিব আশরাফুল আলম এক আদেশে তাঁকে বরখাস্ত করেন।

এর আগে আজ ভোরে রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি ও ল্যাপটপ গায়েব করার অভিযোগে অফিস সহায়ক জয়নালসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার নির্বাচন কর্মকর্তা পল্লবী চাকমা বাদী হয়ে আজ ভোরে কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন।

কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসিন মামলা দায়েরের খবরের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং নির্বাচন কমিশন আইনে মামলাটি করা হয়েছে। মামলায় জয়নাল আবেদিন, তাঁর দুই সহযোগী বিজয় দাস ও তাঁর বোন সীমা দাস এবং আরও দুজনকে আসামি করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে বাকি দুজনের নাম প্রকাশ করতে চাননি তিনি।

গতকাল সোমবার রাতে জয়নালসহ তিনজনকে আটক করে কোতোয়ালি থানা-পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। তাঁদের বিরুদ্ধে ল্যাপটপ চুরি করে রোহিঙ্গাদের ভুয়া এনআইডি করে দেওয়ার অভিযোগ আছে।

সম্প্রতি রমজান বিবি নামের এক রোহিঙ্গা নারী ‘লাকী’ নাম দিয়ে স্মার্ট কার্ড উত্তোলনের জন্য তাঁর এনআইডি নিয়ে গত ১৮ আগস্ট চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে যান। সার্ভারে খোঁজ করলে লাকীর যাবতীয় তথ্য সংরক্ষিত আছে বলে দেখা যায়। লাকীর কথাবার্তায় সন্দেহ হলে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তারা হাটহাজারী উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে যোগাযোগ করেন। সেখান থেকে জানানো হয়, ভোটার হিসেবে নিবন্ধন কিংবা লাকীর নামে জাতীয় পরিচয়পত্র ইস্যু করা হয়নি। কাগজপত্রে কোথাও কিছু নেই। এ ঘটনায় হাটহাজারী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. আরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন। ঘটনার পর ঢাকা ও চট্টগ্রাম নির্বাচন কমিশন কার্যালয় পৃথক দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। পাশাপাশি কোতোয়ালি থানা-পুলিশও তদন্ত শুরু করে। এতে দেখা যায়, অনেক রোহিঙ্গাই এভাবে ভুয়া এনআইডি করছেন।