রাজবাড়ীতে বিজয়ী ইউপি সদস্যের কর্মীকে মারধরের অভিযোগ

রাজবাড়ী
রাজবাড়ী

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন শেষে বিজয়ী এক সদস্য প্রার্থীর নারী কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার দৌলতদিয়ায় গতকাল সোমবার রাতে নির্বাচন শেষে এই ঘটনা ঘটে।

নির্বাচনে হেরে যাওয়ায় পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকেরা এই হামলার ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় আহত নারীর স্বামী গোয়ালন্দ ঘাট থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে অভিযুক্ত ব্যক্তি এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

পুলিশ ও হামলার শিকার নারীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সোমবারের ইউপি নির্বাচনে সদস্যপদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন কাশেম খান (তালা) ও ছাত্তার শেখ (টিউবওয়েল)। নির্বাচনের আগে কাশেম খানের হয়ে এলাকার জনগণের কাছে ভোট চান দৌলতদিয়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড শাহাদৎ মেম্বার পাড়ার বাসিন্দা বশির পত্তনদার ও তাঁর পরিবারের সদস্যরা। ভোট গণনা শেষে কাশেম খান প্রায় ৪০০ ভোটে বিজয়ী হন। পরাজয় নিশ্চিত হওয়ার পর ছাত্তার শেখের সমর্থকেরা বশির পত্তনদারের বাড়িতে গিয়ে তাঁর খোঁজ করেন। এ সময় তাঁকে না পেয়ে তাঁর স্ত্রী মর্জিনা বেগমকে লাঠি দিয়ে পেটান ছাত্তার শেখের সমর্থকেরা। খবর পেয়ে পরিবারের লোকজন বাড়িতে ছুটে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যান। পরে তাঁকে উদ্ধার করে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।

বিজয়ী ইউপি সদস্য কাশেম খান অভিযোগ করে বলেন, ‘বশির পত্তনদার আমার কর্মী। নির্বাচনের ফলাফলের পর বশিরকে মারার জন্য খোঁজ করতে থাকেন ছাত্তার শেখ ও তাঁর লোকজন। বশিরকে বাড়িতে না পেয়ে তাঁর স্ত্রীকে বেদম মারধর করা হয়েছে। ছাত্তার শেখের নেতৃত্বে তাঁর ভাই আফতাব এবং স্থানীয় মাসুদ, মামুন, পারভেজ, বিপ্লব, স্বপন, মিলনসহ ৯ থেকে ১০ জন হামলা করেছেন।’

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে পরাজিত প্রার্থী ছাত্তার শেখ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বশির আমার মামাতো ভাই। ফলাফল ঘোষণার পর আমার বাড়ির ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় জয়ী প্রার্থীর পক্ষ নিয়ে চেঁচামেচি করতে থাকে। কারণ জানতে আমার ছোট ভাই ও ভাতিজা বশিরের বাড়িতে যায়। এ সময় মারধরের কোনো ঘটনা ঘটেনি। তবে ওদের বাড়িতে যাওয়া ঠিক হয়নি।’

জানতে চাইলে গোয়ালন্দ ঘাট থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল তায়াবীর প্রথম আলোকে বলেন, রাতেই এ বিষয়ে অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগ পাওয়ার পর পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।