মানব আকৃতির রোবট বানালেন দুই শিক্ষার্থী

মানব আকৃতির রোবটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। গতকাল দুপুরে ।  ছবি: প্রথম আলো
মানব আকৃতির রোবটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। গতকাল দুপুরে । ছবি: প্রথম আলো

মানবাকৃতির একটি রোবট। চোখে ক্যামেরা লাগানো আছে। অন্ধকারেও দেখতে পারে। রোবটটি ব্যবহারকারীর কথা শুনতে পারে। একই সঙ্গে উত্তরও দিতে পারে। এটি কথা বলার পাশাপাশি ছবি প্রদর্শন করতে পারে। এ ছাড়া ইন্টারনেট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে ব্যবহারকারীকে তা সরবরাহ করতে পারে এই রোবট।

কুমিল্লার ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের দুই শিক্ষার্থী আশরাফুর রহমান মিনহাজ ও মাহমুদা আফরিন রোবটটি বানিয়েছেন। তাঁদের নামের আদ্যক্ষর নিয়ে রোবটটির নাম দেওয়া হয়েছে মিআ-১। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ে এই রোবটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো. আবুল ফজল মীর। তিনি বলেন, ‘তরুণ প্রজন্ম ইন্টারনেট ব্যবহার করে নানা জিনিস উদ্ভাবন করছে। এটি ডিজিটাল বাংলাদেশেরই একটি অংশ।’

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লার নারীনেত্রী দিলনাশি মোহসেন ও বিএনসিসি ময়নামতি রেজিমেন্টের কমান্ডার সালাহউদ্দিন। উপাচার্য তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘আমি এখানে যোগদানের পর চেষ্টা করছি ভিন্ন কিছু করতে। শিক্ষার্থীরা নতুন নতুন ধারণা নিয়ে আসেন। আমরা তাঁদের পৃষ্ঠপোষকতা করার মাধ্যমে এগিয়ে নিতে চাই। প্রযুক্তিজ্ঞান থাকলে যে কেউ উন্নতি করতে পারবেন। ছেলেমেয়েরা রোবট তৈরি করে নিজেদের মেধা ও প্রজ্ঞাকে জানান দিয়েছেন।’

দুই শিক্ষার্থীর মধ্যে আশরাফুরের বাড়ি কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলায়। তিনি সিএসই দ্বিতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী। মাহমুদা আফরিনের বাড়ি দেবীদ্বার উপজেলার মোহনপুর গ্রামে। তিনি ব্রিটানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিএসই তৃতীয় বর্ষের তৃতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।

আশরাফুর রহমান মিনহাজ ও মাহমুদা আফরিন বলেন, দুই মাস সময় লেগেছে এই রোবট তৈরি করতে। এ জন্য ব্যয় হয়েছে ৪০ হাজার টাকা। এই রোবট পরিচালনার জন্য আলাদা করে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে হয় না। তাঁদের দাবি, এটি দেশের প্রথম একটি অগ্রগামী রোবট। এটিকে বাংলাদেশের প্রথম ‘ওপেন সোর্স হিউম্যানয়েড রোবট’ বলা যেতে পারে। সিএসই বিভাগের শিক্ষক মোজাম্মেল হক ও মাসুম বকাউল এই রোবট তৈরিতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন।