সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচিতে সহযোগিতায় গুরুত্বারোপ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ইকোসোক চেম্বারে সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির ওপর উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পাশাপাশি ‘মাল্টি স্টেকহোল্ডার প্যানেল’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে সহসভাপতিত্ব করেন। যুক্তরাষ্ট্র, ২৩ সেপ্টেম্বর। ছবি: পিআইডি
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ইকোসোক চেম্বারে সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির ওপর উচ্চ পর্যায়ের বৈঠকের পাশাপাশি ‘মাল্টি স্টেকহোল্ডার প্যানেল’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে সহসভাপতিত্ব করেন। যুক্তরাষ্ট্র, ২৩ সেপ্টেম্বর। ছবি: পিআইডি

সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচি (ইউএইচসি) অর্জনে অভিন্ন লক্ষ্যের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করতে জাতিসংঘভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পর্যায়ে সহযোগিতা গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন, দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা এ কর্মসূচি অর্জনের অভিন্ন লক্ষ্যের অগ্রগতি ত্বরান্বিত করার ভিত্তি।

প্রধানমন্ত্রী নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরের ইকোসোক চেম্বারে গতকাল সোমবার সর্বজনীন স্বাস্থ্য কর্মসূচির ওপর উচ্চপর্যায়ের এক বৈঠকের পাশাপাশি ‘মাল্টি স্টেকহোল্ডার প্যানেল’ শীর্ষক একটি অনুষ্ঠানে সহসভাপতিত্ব করছিলেন। স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজও ‘ইউএইচসি সমতা, অংশীদারিমূলক উন্নয়ন ও সবার জন্য সমৃদ্ধির চালিকা শক্তি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সহসভাপতিত্ব করেন।

অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা বলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ইউএইচসি ও এসডিজি অর্জনে প্রতিটি দেশের জন্য স্বাস্থ্যসেবা অর্থায়ন কৌশল প্রণয়নে কার্যকর বৈশ্বিক অংশীদারি গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।

অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচকদের মধ্যে ছিলেন জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার মিশেল বাশেলে, ম্যালেরিয়া নির্মূলে আরবিএম অংশীদারিবিষয়ক বোর্ডের সভাপতি মাহা তাইসির বারাকাত, অক্সফাম ইন্টারন্যাশনালের নির্বাহী পরিচালক উইনি বায়ানিমা ও কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকসই উন্নয়ন কেন্দ্রের পরিচালক জেফেরি সাখস।

এর আগে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৪তম অধিবেশনে যোগ দিতে আট দিনের সরকারি সফরে গত রোববার (স্থানীয় সময়) বিকেলে আবুধাবি হয়ে নিউইয়র্ক পৌঁছান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ২৭ সেপ্টেম্বর সাধারণ পরিষদের বার্ষিক এ অধিবেশনে ভাষণ দেবেন। সফরকালে ২৪ সেপ্টেম্বর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও ২৮ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি।

ইতিহাদ এয়ারলাইনসের একটি বিমান প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের নিয়ে (স্থানীয় সময়) বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে জন এফ কেনেডি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মাদ জিয়াউদ্দিন এবং জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মাসুদ বিন মোমেন প্রধানমন্ত্রীকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান।

মোটর শোভাযাত্রাসহকারে প্রধানমন্ত্রীকে লোটে নিউইয়র্ক প্যালেস হোটেলে নিয়ে যাওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র সফরকালে তিনি এখানেই অবস্থান করবেন। হোটেলে পৌঁছালে নিউইয়র্কের স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

২৪ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী লোটে নিউইয়র্ক প্যালেস হোটেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করবেন। প্রধানমন্ত্রী জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশন ও ওআইসি সচিবালয় আয়োজিত মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের অবস্থার ওপর উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে যোগ দেবেন। ২৫ সেপ্টেম্বর ট্রাস্টিশিপ কাউন্সিলে টেকসই উন্নয়ন (এসডিজি সম্মেলন) শীর্ষক উচ্চপর্যায়ের রাজনৈতিক ফোরামে ‘লোকালাইজিং দ্য এসডিজিস’–এ কো-মডারেটরের দায়িত্ব পালন করবেন প্রধানমন্ত্রী।

২৯ সেপ্টেম্বর (স্থানীয় সময়) রাত ৯টায় প্রধানমন্ত্রী ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবেন।