ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প নিয়ে সংসদীয় কমিটির অসন্তোষ

জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি
জাতীয় সংসদ ভবন। ফাইল ছবি

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পের অগ্রগতি ধীর হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সরকারি প্রতিশ্রুতি সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। প্রকল্পগুলো আরও দ্রুত করতে এবং অনিয়ম, অর্থের অপচয় রোধে সচেষ্ট থাকতে বলেছে কমিটি।

জাতীয় সংসদ ভবনে আজ মঙ্গলবার সংসদীয় কমিটির বৈঠকে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয় এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পগুলো নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠক সূত্র জানায়, বৈঠকে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি) জানিয়েছে, ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ২০১৮-১৯ অর্থবছরের ১৪টি প্রকল্পের গড় অগ্রগতি ৮৯ দশমিক ৮৯ শতাংশ। এটি জাতীয় অগ্রগতির গড়ের চেয়ে প্রায় সাড়ে ৪ শতাংশ কম। আর চলতি অর্থবছরের ১২টি প্রকল্পের অগ্রগতি জাতীয় অগ্রগতির চেয়ে ১ দশমিক ৭৮ শতাংশ কম। এ নিয়ে কমিটি অসন্তোষ প্রকাশ করে।

বৈঠক শেষে কমিটির সদস্য ফখরুল ইমাম প্রথম আলোকে বলেন, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের ১২টি প্রকল্প চলছে। এগুলোর অগ্রগতি খুবই অসন্তোষজনক। এ ছাড়া তাঁরা কাবিখা প্রকল্পে চালের বদলে টাকা দিতে বলেছেন। কারণ, আট টন চালের প্রকল্পে টাকার পরিমাণ ৩ লাখ ২০ হাজার। চালের দাম দেওয়া হয় টনপ্রতি ৪২ হাজার টাকার মতো। কিন্তু চাল বিক্রি হয় ২২ হাজার টাকায়। তাতে পাওয়া যায় ১ লাখ ৬০ হাজার টাকা। সুতরাং এসব প্রকল্পে দুর্নীতি হতে বাধ্য। তাই তাঁরা চালের বদলে টাকা দিতে বলেছেন।

এদিকে, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৩ সালের মধ্যে সব ধরনের ভাতাভোগীদের অর্থ দেওয়া হবে অনলাইনে। এ লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে।

বৈঠকের কার্যবিবরণী থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের মধ্যে ভাতাভোগীদের টাকা ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফারের (ইএফটি) মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কর্মসূচির আওতায় বয়স্ক, বিধবা, স্বামী নিগৃহীতা, মহিলা ভাতা, অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতার ৫৩ লাখ উপকারভোগীর ডেটাবেইস তৈরি করা হয়েছে। এর তথ্য হালনাগাদ কার্যক্রম চলছে।

বৈঠকে জানানো হয়, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে নয়টি জেলার ১৬ উপজেলার ১ লাখ ৬১ হাজার ৭৬৫ জন উপকারভোগীকে ইএফটির মাধ্যমে ভাতার টাকা দেওয়া হয়েছে।

সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা এবং সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পগুলো সঠিকভাবে বাস্তবায়ন ও আর্থিক অপচয় রোধের ব্যাপারে সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়।

কমিটির সভাপতি মো. আলী আশরাফের সভাপতিত্বে কমিটির সদস্য দবিরুল ইসলাম, মুজিবুল হক, মইনউদ্দীন খান বাদল, গোলাম মোহাম্মদ কাদের, ফখরুল ইমাম ও গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বৈঠকে অংশ নেন।