চুনোপুঁটি-রাঘববোয়াল কেউই ছাড় পাবে না: কাদের

সাভার শুটিং ক্লাব পয়েন্টে আন্ডারপাস নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: বাসস
সাভার শুটিং ক্লাব পয়েন্টে আন্ডারপাস নির্মাণ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। ছবি: বাসস

দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি যারাই করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চুনোপুঁটি-রাঘববোয়াল কেউই ছাড় পাবেন না। লোক দেখাতে নয়, দুর্নীতি-মাদক-জুয়ার বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে সরকার।

ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের সাভার সেনানিবাসের শুটিং ক্লাব পয়েন্টে আন্ডারপাসের উদ্বোধন শেষে আজ বুধবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যাদের ধরা হয়েছে, তারা সত্যিকার অর্থে অপকর্মকারী। মাদক, দুর্নীতি, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি যারাই করবে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চুনোপুঁটি-রাঘববোয়াল কেউই ছাড় পাবে না।’ তিনি আরও বলেন, ব্যক্তি চুনোপুঁটি হলেও অনেকে দুর্নীতিতে রাঘববোয়াল হয়েছেন। অপরাধী যত বড় আর যত ছোট হোক না কেন, কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, লোকদেখানো নয়, দুর্নীতি-মাদক-জুয়ার বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে সরকার।

সেতুমন্ত্রী বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নে গুণগতমানের সুরক্ষা সরকারের অগ্রাধিকার। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি টেকসই করতে প্রয়োজন উন্নত সড়ক অবকাঠামো। সে লক্ষ্যে সরকার পরিকল্পিতভাবে দেশব্যাপী উন্নয়ন ও জনবান্ধব অবকাঠামো গড়ে তুলছে।

এ সময়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান, নবম পদাতিক ডিভিশনের জিওসি মেজর জেনারেল মো. আকবর হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার ইন চিফ মেজর জেনারেল ইবনে ফজল সায়েখুজ্জামান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের আওতাধীন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কোর অব ইঞ্জিনিয়ার্সের ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড কর্তৃক প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়েছে।

প্রকল্পের কার্যক্রম ২০১৮ সালের ১ জানুয়ারি শুরু হয় এবং ২০১৯ সালের ৩০ জুন প্রকল্পের নির্ধারিত মেয়াদকালের মধ্যেই সফলভাবে সম্পন্ন হয়। নবনির্মিত আন্ডারপাসটি জনসাধারণের নিরাপদে সড়ক পারাপারে সহায়ক ভূমিকা রাখবে, মহাসড়কে নিরবচ্ছিন্ন যানবাহন চলাচল সহজ করবে এবং সড়ক দুর্ঘটনা হ্রাস করার পাশাপাশি সেনানিবাসের অভ্যন্তরীণ চলাচল নির্বিঘ্ন করবে।

সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে প্রায় ২৬ কোটি ৩৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ২০০ মিটার দীর্ঘ আন্ডারপাসটি নির্মাণ করে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড।