এসেনসিয়াল ড্রাগস: দুই সিবিএ নেতার অবৈধভাবে গাড়ি ব্যবহারের তথ্য পেয়েছে দুদক

রাষ্ট্রমালিকানাধীন ওষুধ কোম্পানি এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেডের (ইডিসিএল) দুই সিবিএ নেতা নিয়মবহির্ভূতভাবে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের এক অভিযানে এ তথ্য উদ্‌ঘাটিত হয়েছে।

দুদকের উপপরিচালক প্রণব কুমার ভট্টাচার্য প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, হটলাইনে (১০৬) অভিযোগ পেয়ে আজ বৃহস্পতিবার ইডিসিএলে অভিযানে যায় দুদকের সহকারী পরিচালক নারগিস আক্তার ও মইনুল হাসান রওশনীর সমন্বয়ে গঠিত একটি দল।

দুদক সূত্র জানায়, অভিযানে গিয়ে ইডিসিএলের গাড়ির লগ বই যাচাই করে প্রমাণ পায়, সিবিএর সভাপতি সামসুদ্দিন কাহার এবং সাধারণ সম্পাদক নুর আলম মোল্লা দীর্ঘদিন ধরে সরকারি গাড়ি ব্যবহার করে আসছেন। শ্রম বিধিমালা ২০১৫-এর ২০২ ধারা অনুসারে শ্রমিক সংগঠনের কোনো নেতা-কর্মী সংশ্লিষ্ট সংস্থার কাছ থেকে যানবাহন–সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন না। অবৈধভাবে গাড়ি ব্যবহার নিয়ে আরও বিস্তারিত অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নিতে কমিশনে প্রতিবেদন জমা দেবে দুদকের দলটি।

সিবিএর নেতাদের সরকারি গাড়ি ব্যবহার নিয়ে এর আগে দুদক বেশ কয়েকটি অভিযান পরিচালনা করে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) সিবিএর সভাপতি জহিরুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন মিয়ার কাছ থেকে প্রতিষ্ঠানের দুটি গাড়ি উদ্ধার করে দুদক। প্রভাব খাটিয়ে ১০ বছর ধরে তাঁরা দুটি গাড়ি ব্যবহার করে আসছিলেন। পরে ওই অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে সংস্থাটি।

দুদকের অভিযান শুরুর পর থেকে অনেক প্রতিষ্ঠানের সিবিএর নেতারা সরকারি গাড়ি ফেরত দিয়েছেন বলে গণমাধ্যমে খবর এসেছে।

এদিকে ওই দপ্তরে কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের আরেকটি বিষয়ে অনুসন্ধান করে দলটি। তারা জানতে পারে, সেখানে অস্থায়ী কর্মচারী নিয়োগের বিধিমালা না থাকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই অস্থায়ী কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। গত দুই বছরে ৮১ জনকে মাস্টাররোলে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়ায় অনিয়মের যথেষ্ট সুযোগ থাকায় অবিলম্বে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে দুদকের দলটি ইডিসিএল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে।