রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হবে

সচিবালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার ও কানাডার প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন আসাদুজ্জামান খান। ছবি: ইউএনবি
সচিবালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার ও কানাডার প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপ করেন আসাদুজ্জামান খান। ছবি: ইউএনবি

দেশের মধ্যে রোহিঙ্গাদের ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে ক্যাম্পের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান।

সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার আজ বৃহস্পতিবার বৈঠক করেন। এর আগে কানাডার হাইকমিশনার বেনোইট প্রভোটেইনের নেতৃত্বে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধিদল মন্ত্রীর সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করে। এরপর সাংবাদিকদের কাছে আলাপকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে খুব শিগগির কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে প্রাচীর নির্মাণ করা হবে।

আসাদুজ্জামান বলেন, কাঁটাতার দিলে রোহিঙ্গারা একটি জায়গায় থাকবে। এতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে থাকবে। সম্প্রতি রোহিঙ্গারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে যাচ্ছে। অনেকে ইয়াবাসহ মাদকের বাহকে পরিণত হচ্ছে। এসব বন্ধের জন্যই এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কবে নাগাদ এই বেড়া হতে পারে জানতে চাইলে আসাদুজ্জামান খান বলেন, খুব শিগগির হবে। তবে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফিরলে জানা যাবে। প্রথমে বড় ৩ থেকে ৪টি ক্যাম্পে তার দিয়ে বেড়া দেওয়া হবে। ধীরে ধীরে পুরো ক্যাম্প বেড়ার আওতায় আনা হবে।

বেড়ার পাশাপাশি রোহিঙ্গাদের সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রাখার জন্য ক্যাম্পে ওয়াচ টাওয়ার ও সিসি ক্যামেরা লাগানো হবে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

এদিকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বাংলাদেশ সরকার কেন কাঁটাতারের বেড়া দিতে চায়, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খানের কাছে সেটা জানতে চেয়েছিলেন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার রাষ্ট্রদূত।

মন্ত্রী তাঁদের জানান, ক্যাম্পে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা ও নিরাপত্তার জন্য কাঁটাতারের এই ব্যবস্থা। এ সময় তিনি তুরস্কসহ পৃথিবীর অনেক দেশে শরণার্থীদের নির্দিষ্ট প্রাচীরেই রাখা হয় বলে উল্লেখ করেন।

মোবাইল ফোন সংযোগ বন্ধের বিষয়ে মন্ত্রী জানিয়েছেন, একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য এই সেবা বন্ধ করা হয়েছে। রোহিঙ্গারা যাতে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে যোগাযোগ না করতে পারে, সে জন্য এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।