কলাপাড়ায় জমি নিয়ে বিরোধে নিহত ১

ছবিটি প্রতীকী
ছবিটি প্রতীকী

পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে মো. আব্বাস হাওলাদার (৬০) নামে এক ব্যক্তি মারা গেছেন। আজ শুক্রবার ভোররাত সাড়ে চারটার দিকে উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের সলিমপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় আহত হয়েছে সাতজন। আহতরা হলেন হাসন বানু (৬০), শামীম (২৫), রফিক খলিফা (৫০), আবদুর রশিদ খলিফা (৭০), শাহাবানু বেগম (৬০), সেলিমা বেগম (৫০) ও ইয়াসমিন বেগম (২২)। শুক্রবার সকালে আহতদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয়। তবে আহতদের মধ্যে হাসন বানু, শামীম ও রফিক খলিফার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিসার জন্য দ্রুত বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, সলিমপুর গ্রামের বাসিন্দা মো. মোসলেম আলী খলিফা ও তাঁর চাচাতো ভাই আবদুর রশিদ খলিফার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে। সেই জমিতে গত ১০-১২ দিন আগে আবদুর রশিদ খলিফা দলবল নিয়ে ঘর তোলেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মোসলেম আলী খলিফার লোকজন বেদখল হওয়া জমি উদ্ধার করতে গেলে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে আব্বাস হাওলাদার মারা যান।

নিহত আব্বাস হাওলাদারের স্ত্রী ফাতেমা বেগম বলেন, ‘আমরা বেড়াতে এসেছিলাম। সবাই ঘরের ভেতর ঘুমিয়ে ছিলাম। রাত চারটার সময় ৩০-৪০ জন লোক এসে অতর্কিতে ঘরের ওপর হামলা চালায়। হামলাকারীরা প্রথমে বিদ্যুতের সোলার প্যানেল ভেঙে ফেলে। এরপর মরিচের গুঁড়া ছিটিয়ে দেয়। কিছু বোঝার আগেই এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে।’

এ সময় আব্বাস হাওলাদারের মাথার বাম পাশে আঘাত লাগে। শরীরের বিভিন্ন স্থানেও জখম হয়। একপর্যায়ে হামলাকারীরা চলে গেলে স্থানীয়দের সহায়তায় আব্বাস হাওলাদারসহ আহতদের উদ্ধার করে আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

আমতলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসা কর্মকর্তা ইমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে আব্বাস হাওলাদারের মৃত্যু হয়েছে। তাঁর শরীরে অনেকগুলো আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। হাসপাতালে আনার আগেই তিনি মারা গেছেন।

মোসলেম আলী খলিফার পুত্র মো. শামীম খলিফা জানান, ‘রাতের আঁধারে কে বা কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, তা আমরা জানি না। বিরোধীয় পক্ষ ফায়দা নিতে আমাদের ওপর দায় চাপাচ্ছে।’

এদিকে পুলিশ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার সন্দেহে বেল্লাল গাজী, আল আমীন মল্লিক, রুবেল হাওলাদার, রাজু গাজী ও সিমনকে আটক করেছে। সিমনের মা লাইজু বেগম ছেলের আটকের খবর শোনার পর থানায় গেলে পুলিশ তাঁকেও আটক করে।

কলাপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আশাদুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল থেকে কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি অপরাধীদের ধরার জন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি বলে তিনি জানান।