১/১১-এর মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তির সুযোগ নেই: প্রধানমন্ত্রী

স্থানীয় সময় রোববার রাতে নিউইয়র্ক ত্যাগের আগে সেখানে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ইউএনবি
স্থানীয় সময় রোববার রাতে নিউইয়র্ক ত্যাগের আগে সেখানে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে সংবাদ সম্মেলন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি: ইউএনবি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন, দেশে ১/১১ জাতীয় ঘটনার পুনরাবৃত্তি হওয়ার সুযোগ নেই। কারণ, তাঁর সরকার কঠোরভাবে সব ধরনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে।

স্থানীয় সময় গতকাল রোববার রাতে নিউইয়র্ক ত্যাগের আগে সেখানে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা আগে থেকেই ব্যবস্থা নিচ্ছি, যাতে ১/১১-এর মতো কোনো ঘটনা দেশে আর ঘটতে না পারে। আমি আপনাদের বলতে পারি, ১/১১-এর মতো কোনো পরিস্থিতির প্রয়োজন নেই।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘যদি কোনো অন্যায় কিছু হয়, কে করেছে, সেটা দেখা হবে না। এমনকি আমার দলের লোক হলেও আমি তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব। শুদ্ধি অভিযান নিজ বাড়ি থেকেই শুরু করা উচিত…।’

শেখ হাসিনা স্পষ্টভাবে বলেন, বাংলাদেশে আর ১/১১-এর মতো পর্ব হবে না। এবং এ জন্য যা যা প্রয়োজন, তা সবই তিনি করবেন বলে জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কিছু মানুষ আছে, যারা ধনসম্পদ দেখাতে (শোয়িং অফ) অভ্যস্ত, যা তারা হঠাৎ করে পেয়েছে। সমাজের এই শ্রেণির লোকদের একটা ধাক্কা দেওয়া প্রয়োজন।’

শেখ হাসিনা জানান, তিনি জনগণের কল্যাণের জন্য রাজনীতি করেন। তিনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে ক্ষমতায় এসেছেন। এবং তিনি সর্বদা তাদের কল্যাণ নিয়েই ভাবেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, দীর্ঘকাল ক্ষমতায় থাকার কারণে তাঁর দল যাতে সমাজে কোনো খারাপ প্রভাব না ফেলে, এ জন্য তাঁদের সতর্ক থাকতে হবে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি এটিকেও সামাল দিতে চাই। এ জন্যই আমি এই অভিযান পরিচালনা করছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, অভিযানের কারণে একাংশ অসন্তুষ্ট হতে পারে। তবে এটা তাঁর কাছে তেমন গুরুত্ব বহন করে না। তিনি বলেন, ‘তাদের জন্য আমার কোনো মায়া নেই। কারণ, আমি চাই, দেশের প্রতিটি মানুষ সুখী হোক। এবং আরও উন্নত জীবন যাপন করুক।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সুবিধা গ্রহণ করে কিছু লোক সমাজকে কলুষিত করবে, এমনটা হতে দেওয়া যায় না। এটি আমার কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং, আমি পদক্ষেপ নিচ্ছি।’

শেখ হাসিনা বলেন, খেলাধুলার সামগ্রী আমদানির আওতায় জুয়া খেলার যন্ত্রপাতি দেশে প্রবেশ করতে পারে, তা তাঁদের কাছে অকল্পনীয় ছিল।