লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে চবি ছাত্রলীগে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, আহত ২

ব্যাংকের লাইনে দাঁড়ানো নিয়ে ঘটনার সূত্রপাত। এক পক্ষের কর্মীরা পরীক্ষার টাকা জমা দিতে ব্যাংকের লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। আরেক পক্ষের কর্মীরা লাইনে না দাঁড়িয়ে টাকা জমা দিতে যান। বাধে বিপত্তি। কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতির পর ঘটে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া।

আজ সোমবার বেলা দুইটায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের এই ঘটনায় দুজন আহত হন। পাশাপাশি শহীদ আবদুর রব হলের পাঁচটি কক্ষ ভাঙচুর করা হয়। ভার্সিটি এক্সপ্রেস (ভিএক্স) ও বাংলার মুখ (বিএম) নামে পক্ষ দুটি সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিতি।

ছাত্রলীগ ও পুলিশ সূত্র জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রণী ব্যাংকে টাকা জমা দেওয়ার জন্য বিএমের কয়েকজ কর্মী লাইনে দাঁড়ান। এ সময় ভিক্সের কয়েকজন এসে লাইনে না দাঁড়িয়ে টাকা জমা দিতে যান। এতে দুই পক্ষের মধ্যেই কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। পরে ঘটনাটি জানাজানি হলে বিএমের নেতা-কর্মীরা শহীদ আবদুর রব হলের সামনে অবস্থান নেন। পরে ভিএক্সের নেতা-কর্মীরা সেখানে গিয়ে তাঁদের ধাওয়া দেন। হলে দুই পক্ষই একে অপরকে লক্ষ্য করে কাচের বোতল ও ইট নিক্ষেপ করে। এতে দুজন আহত হন। এ ছাড়া ভিএক্সের নেতা-কর্মীরা হলের পাঁচটি কক্ষ ভাঙচুর করেন। পরে দুই পক্ষের নেতাদের হস্তক্ষেপে ঘটনাটি সমাধান হয়।

আহত দুজনকে বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয় চিকিৎসা কেন্দ্রের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ আবু তৈয়ব। আহত শিক্ষার্থীরা হলেন কম্পিউটার সায়েন্সের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শাহ আজাহার হোসেন ও ইংরেজি বিভাগের চতুর্থ বর্ষের লাবিব শাহরিয়ার। দুজনই বিএম পক্ষের কর্মী। তাঁদের একজন মাথা ও আরেকজন কপালে চোট পেয়েছেন।

পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার বিষয়ে বিএমের নেতা এবং শাখা ছাত্রলীগের সাবেক শিক্ষা ও পাঠচক্রবিষয়ক সম্পাদক আমীর সোহেল প্রথম আলোকে বলেন, জুনিয়রদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে। একই কথা বলেছেন ভিএক্স পক্ষের নেতা ও সাবেক উপদপ্তর সম্পাদক মিজানুর রহমান।

তবে হলের কক্ষ ভাঙচুরে জড়িত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন। তিনি বলেন, জুনিয়রদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। তবে কক্ষ ভাঙচুর প্রত্যাশিত নয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর প্রণব মিত্র চৌধুরী বলেন, দুই পক্ষের নেতারা বিষয়টি সমাধান করেছেন। ক্যাম্পাস শান্ত রয়েছে।