টাঙ্গাইলে স্ত্রী হত্যা মামলায় স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

টাঙ্গাইলে গৃহবধূ মন্টি ঘোষ হত্যা মামলায় তাঁর স্বামী রনি ঘোষকে (৩২) মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে টাঙ্গাইলের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেদা ইয়াসমিন এ দণ্ডাদেশ দেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত রনি ঘোষ টাঙ্গাইল শহরের সাহাপাড়ার রবি ঘোষের ছেলে। মামলায় গৃহবধূ মন্টি ঘোষের শ্বশুর রবি ঘোষ ও রনি ঘোষের ভাইয়ের স্ত্রী পূর্ণিমা ঘোষের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাঁদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি এ কে এম নাছিমুল আক্তার নাছিম বলেন, ২০১৩ সালের ৩০ জুন গাজীপুর জেলার নীলনগর গ্রামের চিনি ঘোষের মেয়ে মন্টি ঘোষের সঙ্গে টাঙ্গাইল শহরের সাহাপাড়ার রবি ঘোষের ছেলে রনি ঘোষের বিয়ে হয়। বিয়ের আড়াই মাস পর স্বামী রনি ঘোষ স্ত্রীর কাছে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন। পরে ওই টাকা তাঁর বাবার কাছ থেকে এনে দেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত চাপ দিতে থাকেন। এ জন্য শারীরিক ও মানসিকভাবে মন্টি ঘোষের ওপর নির্যাতন চলতে থাকে। পরে একই বছরের ১৪ সেপ্টেম্বর রাতে রনি ঘোষ তাঁর স্ত্রী মন্টি ঘোষকে গলাটিপে ও শ্বাসরোধে হত্যা করেন।

ঘটনার পরদিন নিহত মন্টি ঘোষের বাবা চিনি ঘোষ বাদী হয়ে স্বামী রনি ঘোষ, শ্বশুর রবি ঘোষ, ভাইয়ের স্ত্রী পূর্ণিমা ঘোষসহ পাঁচজনকে আসামি করে টাঙ্গাইল সদর মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। দীর্ঘদিন তদন্ত করে পুলিশের উপপরিদর্শক সালাউদ্দিন অজিত ঘোষ ও সঞ্জিত ঘোষকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। মামলা চলাকালে দণ্ডিত আসামি রনি ঘোষ উচ্চ আদালত থেকে জামিনে মুক্ত হন। তারপর থেকে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।

টাঙ্গাইলের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এস আকবর আলী খান বলেন, এই মামলার রায়ে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

এদিকে মামলার রায়ে সন্তুষ্ট নন মামলার বাদী চিনি ঘোষ। তিনি বলেন, যে দুজনকে খালাস দেওয়া হয়েছে, তাঁদের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন।