রূপগঞ্জের একটি বাড়ি থেকে সোয়া কোটি টাকা ও হাজারো ইয়াবা জব্দ

রূপগঞ্জের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা। ছবি: প্রথম আলো
রূপগঞ্জের একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া টাকা। ছবি: প্রথম আলো

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা ও ২ হাজার ইয়াবা বড়িসহ তিন ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে উপজেলার তারাব পৌরসভার রসুলপুর এলাকায় এই অভিযান চালানো হয়।

আটক ব্যক্তিরা হলেন জামাল হোসেন, মোস্তফা কামাল ও মানিক মিয়া।

বাড়িটিতে একটি ট্রাংকের মধ্যে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা পাওয়া যায়। ছবি: প্রথম আলো
বাড়িটিতে একটি ট্রাংকের মধ্যে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা পাওয়া যায়। ছবি: প্রথম আলো

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল হাসান বলেন, পুলিশের কাছে গোপন সংবাদ ছিল, রসুলপুর এলাকার একটি বাড়িতে বিপুল পরিমাণ টাকাসহ ইয়াবা বড়ি রয়েছে। এই সংবাদের ভিত্তিতে জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে পুলিশ মধ্যরাতে অভিযান শুরু করে। অভিযানকালে ২ হাজার ইয়াবা বড়ি ও একটি ট্রাংকের মধ্যে রাখা ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা জব্দ করা হয়।

এ ঘটনায় বাড়ির মালিক জামাল হোসেন, তাঁর সহযোগী মোস্তফা কামাল ও প্রতিবেশী মানিক মিয়াকে আটক করে পুলিশ।

টাকার বৈধ উৎস জানাতে পারেননি বাড়ির লোকজন। ছবি: প্রথম আলো
টাকার বৈধ উৎস জানাতে পারেননি বাড়ির লোকজন। ছবি: প্রথম আলো

ওসি মাহমুদুল হাসান জানান, জামাল ও মোস্তফার বাড়ি বরিশাল জেলার উজিরপুর থানার ধাসুরা এলাকায়। আট বছর আগে তাঁরা রসুলপুর এলাকায় জমি কিনে বাড়ি নির্মাণ করেন। তাঁরা অবৈধ কয়েল কারখানা ও গরুর খামারের আড়ালে ইয়াবার ব্যবসা করে আসছিলেন।

অভিযানকালে টাকা ও ইয়াবা বড়িসহ তিন ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। ছবি: প্রথম আলো
অভিযানকালে টাকা ও ইয়াবা বড়িসহ তিন ব্যক্তিকে আটক করে পুলিশ। ছবি: প্রথম আলো

এ ঘটনায় মামলার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে জানান ওসি মাহমুদুল হাসান।

রূপগঞ্জ উপজেলার একটি বাড়িতে মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালায় পুলিশ। ছবি: প্রথম আলো
রূপগঞ্জ উপজেলার একটি বাড়িতে মঙ্গলবার রাতে অভিযান চালায় পুলিশ। ছবি: প্রথম আলো

জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, আটক ব্যক্তিরা টাকার বৈধ উৎস জানাতে পারেননি। এত টাকা কোথা থেকে এসেছে, সে তথ্যও দিতে পারেননি। কয়েল কারখানার ব্যবসার কথা বললেও কোনো বৈধ কাগজপত্র নেই। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করা হবে। এর বাইরে মানি লন্ডারিংয়ের মামলাও করা যাবে।