খালেদার ব্লাড সুগার বেশি, নিয়ন্ত্রণে আসছে না: রুমিন

রুমিন ফারহানা। ছবি: ফেসবুক
রুমিন ফারহানা। ছবি: ফেসবুক

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বলে জানালেন দলটির চার সাংসদ। তাঁরা বলছেন, খালেদা জিয়া ঠিকমতো খেতেও পারছেন না।

আজ বুধবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) কারাবন্দী দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন সাংসদ মোশাররফ হোসেন, জাহিদুর রহমান, রুমিন ফারহানা ও গোলাম মোহম্মদ সিরাজ। বেলা তিনটায় তাঁরা দেখা করতে যান।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও সাংসদ রুমিন ফারহানা প্রথম আলোকে বলেন, ‘সার্বিকভাবে তাঁর (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। ব্লাড সুগার অনেক বেশি। কোনো ওষুধেই নিয়ন্ত্রণে আসছে না। যে মানুষকে দেখেছি হেঁটে গাড়িতে উঠে আদালতে গিয়েছেন। তারপরে তাঁর শারীরিক যে অবস্থা, তার পুরো দায়দায়িত্ব সরকারের।’

রুমিন ফারহানা জানান, খালেদা জিয়া তাঁদের জানিয়েছেন তিনি কোনো অপরাধ করেননি। যে মামলা, তাতে জামিন তাঁর অধিকার।

বিএনপির আরেক সাংসদ মোশাররফ হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচিত হওয়ার পর এই প্রথম তাঁরা খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে পেরেছেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া ভীষণ অসুস্থ। তাঁর শরীর অবশ হয়ে আসার মতো। ঠিকমতো খেতেও পারছেন না। তিনি সরকারের কাছে জানতে চেয়েছেন, জামিনযোগ্য মামলা হলেও তাঁর জামিন কেন হচ্ছে না।

এর আগে গতকাল বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে কারাবন্দী বিএনপির চেয়ারপারসনের সঙ্গে দেখা করেন হারুনসহ দলটির তিন সাংসদ। তাঁর সঙ্গে বিএসএমএমইউতে যাওয়া অপর দুই সাংসদ হলেন মো. আমিনুল ইসলাম ও উকিল আবদুস সাত্তার।

হারুনুর রশীদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে। তিনি নিজ হাতে খেতে পারেন না। তাঁর (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থা খুব বেদনাদায়ক, হাত ফুলে আছে, ব্যথা। নিজের খাওয়াটাও নিজের হাতে খেতে পারেন না। সঙ্গে যিনি আছেন, তিনি খাইয়ে দেন। তাঁর পোশাকও আরেকজনকে পরিয়ে দিতে হয়। এ অবস্থায় তাঁকে জেলে বন্দী রাখাটা অত্যন্ত অমানবিক।’

সরকার খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে জুলুম করছে অভিযোগ করে হারুনুর রশীদ প্রত্যাশা করেন, সরকার তাঁর জামিন দেবে। হারুনুর রশীদ বলেন, জামিন পেলে তাঁকে সুচিকিৎসা দেওয়া হবে। প্রয়োজনে বিদেশেও নেওয়া হবে। তা না হলে তাঁর অবস্থার আরও অবনতি হবে।