রিফাত হত্যাকাণ্ড: পলাতক ৮ আসামির মালামাল ক্রোকের নির্দেশ

রিফাত শরীফ হত্যা
রিফাত শরীফ হত্যা

বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার পলাতক আট আসামির মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। মামলার ধার্য তারিখে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম গাজী এ আদেশ দেন।

এই আটজনের মধ্যে দুজন প্রাপ্ত বয়স্ক। বাকি ছয়জন অপ্রাপ্তবয়স্ক। মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পর জামিনে থাকা রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা ও আরিয়ান হোসেন শ্রাবণ আদালতে হাজির হন।

আদালত আজ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক অভিযুক্তদের নিয়ে দাখিল করা অভিযোগপত্রের প্রধান আসামি রাকিবুল হাসান ওরফে রিফাত ফরাজী ও ৪ নম্বর আসামি রেজওয়ান আলী খান ওরফে টিকটক হৃদয়ের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন। এ মামলার অপ্রাপ্তবয়স্ক তিন আসামির জামিন আবেদন করলে আদালত তা শিশু আদালতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বাদী পক্ষের আইনজীবী মুজিবুল হক বলেন, রিফাত হত্যা মামলার ধার্য তারিখ থাকায় আজ বরগুনার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে বরগুনা জেলা কারাগারে থাকা এ মামলার ৭ আসামিকে হাজির করে পুলিশ। আদালতের কার্যক্রম শেষ হলে কারাগারে থাকা আসামিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে এ মামলার পলাতক ৮ আসামির মালামাল ক্রোকের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আগামী ১৬ অক্টোবর মামলার পরবর্তী তারিখ নির্ধারণ করেছেন আদালত।

গত ২৬ জুন সকালে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে রিফাত শরীফকে তাঁর স্ত্রী আয়শার সামনে কুপিয়ে গুরুতর জখম করেন সন্ত্রাসীরা। বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর ওই দিন বিকেলে মারা যান রিফাত শরীফ। পরের দিন ২৭ জুন নিহত রিফাতের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ১২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। পরে আয়শাকে এই মামলায় আসামি করা হয়।