ক্যাসিনো বিএনপির আমলে, এ কথার গ্রহণযোগ্যতা নেই: ড. কামাল

প্রবীণ আইনজীবী ও রাজনীতিক ড. কামাল হোসেন। ফাইল ছবি
প্রবীণ আইনজীবী ও রাজনীতিক ড. কামাল হোসেন। ফাইল ছবি

জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ঢাকায় ক্যাসিনো–কাণ্ডের জন্য বিএনপিকে দোষারোপ করা যায় না। কেননা বিএনপি তো ১০ বছর ক্ষমতায় নেই। তাই তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলার গ্রহণযোগ্যতা নেই।

আজ শুক্রবার ‘বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে জাতীয় সরকার গঠনের অপরিহার্যতা’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় ড. কামাল এ কথা বলেন। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এই আলোচনা সভার আয়োজন করে।

ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘গত ১০ বছর ক্ষমতায় না থেকেও সবকিছু তারা (বিএনপি) করেছে, এটা বলা কী ঠিক? সুতরাং আমাদের বুঝতে হবে এ অভিযোগটার গ্রহণযোগ্যতা নাই।’ তিনি বলেন, ‘এই যে ক্যাসিনো, এই ক্যাসিনো যে এই আকারে আছে, এটা কী করে হলো? মানে এটা কী করে ভাববেন যে সবকিছুই...বিএনপি করে গেছে। আমি তো কোনো দিন বিএনপির সমর্থক ছিলাম না। আমি বিএনপির বিরোধিতা করেই আসছি।’ তিনি বলেন, সুতরাং ক্যাসিনো–কাণ্ডে বিএনপিকে দোষারোপ করা যায় না।

এর পরই জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এই শীর্ষ নেতা বলেন, ‘দোষ দেওয়া যায় হয়তো। গত ১০ বছরে যেসব অসম্ভব কাজ তারা (আওয়ামী লীগ) করেছে, ১০ বছরে দেশে যেসব ঘটনা ঘটেছে, তার ক্রেডিট তারা দিতে চায় বিএনপিকে। বিএনপি অতীতে অনেক কিছু করতে পারে। কিন্তু গত দশ বছর ক্ষমতায় না থেকে সবকিছু তারা করেছে, এটা বলা কি ঠিক।’

ঢাকায় ক্লাবে ক্যাসিনোর অবৈধ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে অভিযানের পর সরকারের দায়িত্বশীল মন্ত্রীরা বলেছেন, বিএনপির আমল থেকেই ক্যাসিনো ছিল।

ড. কামাল হোসেন বলেন, সবাই দেশের অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন। সরকারের লোকেরাও উদ্বিগ্ন। তিনি বলেন, ‘নেতিবাচক কথা বলে এখান থেকে চলে গিয়ে কোনো অগ্রগতি হবে না। এই সরকারকে প্রত্যাখ্যান করেছি। প্রত্যাখ্যান করতে বাধ্য হচ্ছি সরকারের কর্মকাণ্ডের জন্য। কিন্তু এটা করে তো কোনো লাভ হবে না। যেটা প্রয়োজন সেটা হলো জনগণের ঐক্য, সর্বদলীয় ঐক্য।’

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জেএসডির সভাপতি আ স ম আবদুর রব। আলোচনায় অংশ নেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) সভাপতি মোস্তফা জামাল হায়দার, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি সাইফুল হক, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন প্রমুখ।