যেভাবে আটক সম্রাট

ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। ছবি: সম্রাটের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া
ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট। ছবি: সম্রাটের ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আলকরা ইউনিয়নের পুঞ্জশ্রীপুর গ্রামে মুনির চৌধুরী নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে যুবলীগ নেতা ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাট লুকিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে র‌্যাব। ওই বাড়ি থেকে আজ রোববার ভোরে র‌্যাব ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি সম্রাট ও এনামুল হক আরমানকে আটক করে। আরমানও যুবলীগের নেতা।

র‌্যাব–১১ কুমিল্লা কোম্পানির ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার প্রণব কুমার বলেন, গতকাল শনিবার সন্ধ্যা সাতটার পর থেকে র‌্যাবের ১২ থেকে ১৪টি গাড়ি পুঞ্জশ্রীপুর গ্রামের আশপাশে অবস্থান নেয়। র‌্যাব বিভিন্ন সড়কের মধ্যে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। 

আলকরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক হেলাল বলেন, মুনির চৌধুরী স্থানীয় জামায়াত নেতা হিসেবে পরিচিত। তিনি ফেনীর মেয়র মো. আলাউদ্দিনের ভগ্নিপতি। আলাউদ্দিন জাতীয় পার্টি থেকে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়েছেন।

এলাকার কয়েকজন বাসিন্দার ভাষ্য, আলকরা ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইসমাইল হোসেন বাচ্চু সম্রাট বাহিনীর সদস্য। তাঁর মাধ্যমেই সম্রাট মুনির চৌধুরীর বাড়িতে অবস্থান নেন। সেখান থেকে সীমান্ত পার হয়ে তাঁর ভারতে যাওয়ার কথা ছিল। সম্রাটের বাড়ি ফেনীতে বলেও জানান তাঁরা।

চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগের কারণে যুবলীগ নেতা সম্রাটের নাম আলোচনায় আসে। অভিযানে যুবলীগ, কৃষক লীগ ও আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা র‍্যাব ও পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন। কিন্তু সম্রাট ছিলেন ধরাছোঁয়ার বাইরে।