ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে এখন আর কারও দেখা নেই

ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে বসেই রাজধানীর অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করতেন সম্রাট। ছবি: প্রথম আলো
ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে বসেই রাজধানীর অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করতেন সম্রাট। ছবি: প্রথম আলো

দুপুর হলেই নেতা-কর্মীদের ভিড়ে জমজমাট থাকত কাকরাইলের ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টার। নেতা-কর্মীদের ভিড়ে ভবনটির সামনের সড়কে প্রায় প্রতিদিনই যানজটের সৃষ্টি হতো। ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হওয়ার পরও এই চিত্রের খুব একটা হেরফের হয়নি। তবে গত রোববার ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ওরফে সম্রাট গ্রেপ্তার হওয়ার পরই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। সম্রাটের দখল করা ভবন ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারের সামনে গতকাল সোমবার কোনো ভিড় ছিল না।

দুপুর থেকে প্রায় তিন ঘণ্টা অপেক্ষার পর বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক এক নেতা ভবনের সামনে আসেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ব্যক্তিগত একটা কাজে এই পথ হয়ে যাচ্ছিলেন। চা–বিস্কুট খেতে এখানে দাঁড়িয়েছেন।

ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারের পাশে ৪০ বছর ধরে একটি খাবারের দোকান চালান মোহাম্মদ আলী। তিনি বলেন, এখন যা অবস্থা, তাতে মনে হয় না কেউ আর এখানে আড্ডা দিতে আসবে।

ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে বসেই রাজধানীর অপরাধজগৎ নিয়ন্ত্রণ করতেন সম্রাট। দুপুর থেকে রাত পর্যন্ত এই ভবনে বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা আসতেন। গত রোববার ভোরে সম্রাটকে আটকের পর তাঁকে নিয়েই ভবনটিতে অভিযান চালিয়েছিল র‍্যাব। অভিযানের পর ভবনটি সিলগালা করে দেওয়া হয়।