খুনিদের ফাঁসির দাবিতে জাবি শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

আবরার ফাহাদের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: মাইদুল ইসলাম
আবরার ফাহাদের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: মাইদুল ইসলাম

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, ভারতের সঙ্গে সাম্প্রতিক চুক্তিতে দেশের স্বার্থ বিসর্জন দেওয়া হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার বেলা একটায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারের পাদদেশ থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক ঘুরে জয় বাংলা ফটকে গিয়ে শেষ হয়। পরে জয় বাংলা ফটক–সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন তাঁরা। শিক্ষার্থীরা বেলা আড়াইটা পর্যন্ত অবরোধ চালিয়ে যান।

গত রোববার দিবাগত রাত তিনটার দিকে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের একতলা থেকে দোতলায় ওঠার সিঁড়ির মাঝ থেকে আবরারের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। জানা যায়, ওই রাতেই হলটির ২০১১ নম্বর কক্ষে আবরারকে পেটান বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। ময়নাতদন্তকারী চিকিৎসক জানিয়েছেন, তাঁর মরদেহে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আবরার বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী ছিলেন।

আবরার ফাহাদের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: মাইদুল ইসলাম
আবরার ফাহাদের হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে আন্দোলন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ছবি: মাইদুল ইসলাম

অবরোধ চলাকালে ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের কার্যকরী সদস্য রাকিবুল হক বলেন, ‘দেশের সব স্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে ভারতের সঙ্গে চুক্তি করেছে এ দেশের সরকার। সেই চুক্তির সমালোচনা করায় আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আবরারের দেশপ্রেম কি অপরাধ? এই দেশে বাস করে ভারতের গোলামি করতে হবে নাকি?’

বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আবরার ফাহাদ যেসব চুক্তির সমালোচনা করেছে, যেসব চুক্তির বিরোধিতা করেছে, যেসব কথা বলেছে, সেসব আমারও কথা। তাহলে কি এখন আমাকেও পিটিয়ে হত্যা করা হবে?’ তিনি বলেন, ‘আবরার হত্যার ঘটনায় বুয়েট কর্তৃপক্ষ শুধু একটা সাধারণ ডায়েরি করেছে। শুধু জিডি করেই এর দায় বুয়েট কর্তৃপক্ষ এড়াতে পারে না। হত্যাকারীদের বিরুদ্ধে বুয়েট কর্তৃপক্ষকেও মামলা করতে হবে।’