সন্ত্রাসী রাজনীতির ধারা থেকেই আবরার হত্যা

আবরার ফাহাদ। ছবি: আবরার ফাহাদের ফেসবুক থেকে নেওয়া
আবরার ফাহাদ। ছবি: আবরার ফাহাদের ফেসবুক থেকে নেওয়া

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরেবাংলা হলের ছাত্র আবরার ফাহাদকে হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে সমাবেশ করেছেন নিপীড়ন বিরোধী অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার দুপুর ১২টার দিকে এই সমাবেশ হয়।

সমাবেশে উপস্থিত ব্যক্তি, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বলেন, ছাত্রলীগ ও ছাত্রদল বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যে সন্ত্রাসের রাজনীতি তৈরি করেছে, তার ধারাবাহিকতায় আজ আবরারের হত্যাকাণ্ড।

এ সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক জোবাইদা নাসরিন বলেন, ‘এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি হলে নির্যাতন সেল আছে। সহকর্মী শিক্ষকদের যখন বলি উনারা বলেন, ডাহা মিথ্যা। আমি একটা হলের আবাসিক শিক্ষক। ছাত্রলীগ শিবির বলে একজনকে বের করে দিয়েছে। আমি কারণ জানতে চাইলে তারা বলে, আমার নামে ৫৭ ধারায় মামলা করবে। আমি নাকি শিবির পালি।’

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘আবরারের আগে এমন অসংখ্য ঘটনা ঘটেছে। ছাত্রলীগকে কে এই অধিকার দিয়েছে? ছাত্রলীগ নেতাদের কাছে এর জবাব আছে! আওয়ামী লীগ নেতারা বলেন প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে ছাড়া কোনো কিছু ঘটে না!’

সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শামসুন্নাহার হলের সাহিত্য সম্পাদক অরুণিমা তাসনিম বলেন, ‘মতপ্রকাশ করে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলে মা বাবার কাছ থেকে ৪০ টা ফোন আসে, বাবা স্ট্যাটাস দিস না। প্রতিটি হলে হত্যার ক্ষেত্র তৈরি করে রাখা হয়েছে।’

রাজনীতির নামে সন্ত্রাস চলছে জানিয়ে অদিতি মৃধা নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ছাত্র রাজনীতি মানে হলো আদর্শ, সন্ত্রাস নয়। এখন আদর্শের বদলে সন্ত্রাস চলছে। যে কারণে আমি ঘর থেকে বের হয়ে চলে এসেছি।’

ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক অনিক রায় বলেন, ‘আবরার মারা গেছে, কিন্তু প্রতিরাতেই বুয়েটের কাউকে না কাউকে মেডিকেলে যেতে হয়।’