'আমার ছেলের জন্য সারা বাংলা কাঁদছে'

আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ। ছবি: আসাদুজ্জামান
আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ। ছবি: আসাদুজ্জামান

‘আমার ছেলের জন্য আজ সারা বাংলা কাঁদছে, এ জন্য আমি কৃতজ্ঞ’—আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় প্রথম আলোকে এ কথা বলেন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদের বাবা বরকত উল্লাহ। গত রোববার বুয়েটের শেরে বাংলা হলে আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

বরকত উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, অমিত সাহা আটকের খবরে তিনি স্বস্তি পেয়েছেন। এ জন্য পুলিশ প্রশাসনকে ধন্যবাদ। গতকাল বুধবার বুয়েটের উপাচার্য সাইফুল ইসলাম আবরারের মায়ের সঙ্গে দেখা করতে পারতেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

বরকত উল্লাহ বলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম ভিসি আবরারের মায়ের সঙ্গে দেখা করুন। তাঁকে নিয়ে আমি সামনে পথ পরিষ্কার করছিলাম। কিন্তু এলাকার মানুষের বিক্ষোভের মুখে প্রশাসন ভিসিকে নিয়ে দ্রুত গাড়িতে করে চলে যান। ভিসি পারতেন আমার পেছনে এসে আবরারের মায়ের সঙ্গে দেখা করতে। সেটা তিনি করেননি। তিনি পুলিশের কথামতো চলে গেলেন।’

বরকত উল্লাহ বলেন, ‘শুনলাম, আমার ছোট ছেলেকে (আবরার ফায়াজ) নাকি কারা হুমকি দিয়েছে।’

মোবাইল ফোনে নাকি সরাসরি এই হুমকি দেওয়া হয়েছে? এমন প্রশ্নে বরকত উল্লাহ বিস্তারিত কিছু জানাতে পারেননি। তিনি বলেন,‘আমরা সবাই এখন গ্রামের বাড়িতেই আছি। এলাকার পরিস্থিতিও আপাতত ভালো।’

আবরার হত্যার ঘটনায় গতকাল বুধবার বিকেলে বুয়েটের উপাচার্য সাইফুল ইসলাম আবরারের গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার রায়ডাঙ্গায় যান। সেখানে আবরারের কবর জিয়ারতের সময় বাবা ও ভাইয়ের প্রশ্নে জর্জরিত হন তিনি। এরপর আবরারের মায়ের সঙ্গে দেখা করতে গেলে এলাকাবাসীর বিক্ষোভের মুখে পড়েন। বিকেল পাঁচটায় জেলা প্রশাসকের গাড়িতে করে দ্রুত সেখান থেকে চলে যান।

আজ আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় অমিত সাহা নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা ও অপরাধ তথ্য বিভাগ। এই নিয়ে এ ঘটনায় মোট ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অমিত সাহা বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র। তিনি বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপসম্পাদক। আবরার হত্যার এজাহারে অমিত সাহার নাম না থাকলেও তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি। এ ঘটনায় পুলিশকে বরকত উল্লাহ ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।