বুয়েটের হত্যাকাণ্ড নিয়ে পানি ঘোলা করার অপচেষ্টা প্রতিহত করা হবে: তথ্যমন্ত্রী

সমাবেশে বক্তৃতা করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। প্রেসক্লাব, ঢাকা, ১১ অক্টোবর। ছবি: সংগৃহীত
সমাবেশে বক্তৃতা করেন তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। প্রেসক্লাব, ঢাকা, ১১ অক্টোবর। ছবি: সংগৃহীত

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বুয়েটের হত্যাকাণ্ড নিয়ে কেউ যদি পানি ঘোলা করা বা এটিকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা করে, সেটা প্রতিহত করা হবে। শান্তিপ্রিয় বাংলাদেশে কেউ যেন অশান্তি সৃষ্টি করতে না পারে, আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সেদিকে সতর্ক দৃষ্টি রাখার আহ্বান জানাচ্ছি।’

আজ শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত ‘বিএনপিসহ কুচক্রী মহলের দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন’ শীর্ষক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এ কথা বলেন।

তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আবরার হত্যাকাণ্ড অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ও নৃশংস। আমরা প্রথম থেকেই এর প্রতিবাদ করছি এবং প্রধানমন্ত্রী দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির কথা বলেছেন। তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে। দাবি তোলার আগেই যাদের এর সঙ্গে যুক্ত মনে হয়েছে, তাদের প্রায় সবাইকে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’

বিএনপির সময় বুয়েটের শিক্ষার্থী সনি হত্যাকাণ্ড, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনাসহ বহু ঘটনার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়া কী ব্যবস্থা নিয়েছিলেন, সেই প্রশ্নও তোলেন তথ্যমন্ত্রী।

বিএনপির উদ্দেশে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যে চুক্তিগুলোর মাধ্যমে শেখ হাসিনা দেশের স্বার্থ আদায় নিশ্চিত করেছেন, সেগুলোর অমূলক বিরোধিতা করে আন্দোলনের নামে তারা যদি বিশৃঙ্খলার অপচেষ্টা চালায়, দেশের জনগণ তাদের প্রতিহত করবে।

বিএনপির আন্দোলন কর্মসূচি ও বিশৃঙ্খলার অপচেষ্টার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগ, মাঠে আমরাও থাকব।’

হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বিএনপি বলে, দেশে নাকি মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই। কিন্তু সত্য হলো, শেখ হাসিনার সরকার মতপ্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী। এই প্রেসক্লাবের সামনে আমাদের তিন গজ দূরে সমাবেশে বিএনপি আমাদের অনেক অমূলক সমালোচনা করছে, এতে আমরা অখুশি নই, খুশি। কারণ, এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতার প্রমাণ।’

সমাবেশে অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, প্রচার সম্পাদক আকতার হোসেন, স্বাধীনতা পরিষদের উপদেষ্টা জাকির হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন বক্তৃতা করেন।