ছাত্ররাজনীতি বন্ধ হলে মৌলবাদীরা সুযোগ নেবে: মেনন

ওয়ার্কার্স পার্টির চট্টগ্রাম জেলার সম্মেলনে বক্তব্য দেন পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। চট্টগ্রাম, ১১ অক্টোবর। ছবি: প্রথম আলো
ওয়ার্কার্স পার্টির চট্টগ্রাম জেলার সম্মেলনে বক্তব্য দেন পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। চট্টগ্রাম, ১১ অক্টোবর। ছবি: প্রথম আলো

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতির সংস্কৃতি টিকিয়ে রাখার পক্ষে মত দিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেছেন, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হলে মৌলবাদীরা সুযোগ নেবে। চট্টগ্রামের জে এম সেন হল প্রাঙ্গণে ওয়ার্কার্স পার্টির চট্টগ্রাম জেলার সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আজ শুক্রবার বিকেলে তিনি এই মন্তব্য করেন।

মেনন বলেন, ‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করতে হবে। তবে তার মানে এই নয় যে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্ররাজনীতি বন্ধ করতে হবে। আমি নিজে ছাত্ররাজনীতির প্রোডাক্ট। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ছাত্ররাজনীতি করেছেন। মাথাব্যথা হলে মাথা কেটে ফেলতে হবে, এটা কোনো সমাধান নয়। ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ হলে মৌলবাদীরা সুযোগ নেবে। অতীতেও এটাই হয়েছে।’

বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে মেনন বলেন, ‘কয়েক দিন ধরে আমাদের সবারই মন খারাপ। আমরা ভাবিনি, স্বাধীন বাংলাদেশের সর্বশ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠে সহপাঠীরা একজন ছাত্রকে পিটিয়ে মেরে ফেলতে পারে। এ রকম ঘটনা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঘটছে। এটা নতুন কোনো ঘটনা নয়।’

মেনন আরও বলেন, ছাত্রলীগের হাতে বুয়েটসহ প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় জিম্মি। এরা শুধু আবরারকে পিটিয়ে মারেইনি, এরপর তারা খেলা দেখেছে, খাবার খেয়েছে। কী অমানবিক! ভিন্নমতের জন্য পিটিয়ে হত্যা যেমন গণতন্ত্রের জন্য ভয়ংকর, একইভাবে মৌলবাদীরা যখন একই কাজ করে সেটি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের জন্য আরও বেশি ভয়ংকর।

সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন ক্যাসিনোতে চালানো অভিযানের বিষয়ে মেনন বলেন, ‘দেশে দুর্নীতি কি কেবল জুয়া আর ক্যাসিনোতে? প্রশাসনের নাকের ডগায় মতিঝিল থানার কয়েক শ গজের মধ্যে হাজার হাজার কোটি টাকার ক্যাসিনো কী করে এত দিন চলেছে? সেই ক্যাসিনো তুলতে গিয়ে আমাদের গায়েও কালি ছিটানোর চেষ্টা হয়েছে। অথচ বড় বড় প্রকল্পে দুর্নীতি হয়েছে। তাদের বিশ্বের অন্য দেশে সেকেন্ড হোম হয়েছে। তাদের নামগুলো আনেন না কেন?’

সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্কার্স পার্টির জেলা কমিটির সভাপতি আবু হানিফ। ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক শরীফ চৌহানের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আমিরুল হক।