বাঁশের খুঁটিতে বিদ্যুতের তার

ট্রান্সফরমার থেকে বাঁশের খুঁটিতে শতাধিক বিদ্যুতের তার। সম্প্রতি বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার তালোড়া পৌর এলাকার মেঘা মহল্লায়।  ছবি: প্রথম আলো
ট্রান্সফরমার থেকে বাঁশের খুঁটিতে শতাধিক বিদ্যুতের তার। সম্প্রতি বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার তালোড়া পৌর এলাকার মেঘা মহল্লায়। ছবি: প্রথম আলো

মহল্লায় ঢোকার রাস্তার এক পাশে দুটি খাম্বার ওপর বিদ্যুতের ট্রান্সফরমার। সেখান থেকে শতাধিক তার বাঁশের খুঁটিতে ঝুলিয়ে মহল্লার বিভিন্ন বাড়িতে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। তারগুলো জরাজীর্ণ। যেকোনো মুহূর্তে দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

এ দৃশ্য বগুড়ার দুপচাঁচিয়ার তালোড়া পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মেঘা মহল্লার। মহল্লাবাসীর অভিযোগ, খাম্বার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজনের কাছে ২০ বছর ধরে ধরনা দিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের কাছে অতিরিক্ত টাকা দাবি করা হয়েছে। তাঁরা টাকা দেননি বলে খাম্বাও জোটেনি।

তালোড়া বাজার থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরেই রেললাইনের উত্তর পাশে মেঘা গ্রাম। ২০১১ সালে তালোড়া ইউনিয়নের একাংশ নিয়ে তালোড়া পৌরসভা গঠন করা হয়। প্রায় ২০ বছর আগে মেঘা মহল্লার রাস্তার পাশে দুটি খাম্বার ওপর বসানো হয় ট্রান্সফরমার। মহল্লার ভেতর প্রায় ৩০০ মিটার পর্যন্ত বাঁশের খুঁটি দিয়ে শতাধিক তার ঝুলিয়ে বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়া হয়েছে। এ মহল্লার অন্তত ১৪০টি বাড়িতে বৈধ বিদ্যুৎ–সংযোগ রয়েছে। মহল্লা থেকে আরও ২০০ মিটার দূরে একটি গভীর নলকূপ ও তিনটি শ্যালো মেশিনের (সেচপাম্প) সংযোগ রয়েছে। এ ছাড়া ট্রান্সফরমার থেকে রেললাইনের ওপর দিয়ে চারটি তার পার করে দক্ষিণ পাশে আরেকটি খাম্বায় ঝোলানো হয়েছে। এ খাম্বা থেকে একইভাবে চারটি চালকলের সংযোগসহ কয়েকটি বাড়িতে বিদ্যুৎ–সংযোগ দেওয়া হয়েছে।

সেচপাম্পের মালিক বাহালুল হোসেন বলেন, ‘প্রায় ২০-২২ বছর আগে গ্রামের ঢোকার মুখে ট্রান্সফরমার বসানো হয়েছিল। তখন গ্রামের লোকজনের কাছ থেকে টাকা তুলে ট্রান্সফরমারটি বসানো হয়। গ্রামের মধ্যে খাম্বাও দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তা না দেওয়ায় বাঁশের খুঁটিতে তার ঝুলিয়ে সেচপাম্পের সংযোগ দেওয়া হয়। সিমেন্টের স্থায়ী খাম্বার জন্য প্রতিবছরই বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করা হয়। আজ দেবে কাল দেবে করে অনেক বছর পার হলো, খাম্বা আর দেওয়া হয়নি।’

কয়েকজন গ্রাহক বলেন, ‘খুঁটির জন্য খরচ চান বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন। আমরা দিতে পারিনি। এ জন্য খাম্বাও দেওয়া হয়নি।’

দুপচাঁচিয়া বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্রের উপসহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেন বলেন, এ রকম কয়েকটি স্থানে খাম্বার জন্য বরাদ্দ চেয়েও পাওয়া যায়নি। তবে এবার প্রকল্পের কাজ চলছে, শিগগিরই খাম্বার ব্যবস্থা করা হবে।