খুনিদের বিচার দাবিতে বুয়েটে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি

বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষার কারণে গতকাল রোববার ও আজ সোমবার আন্দোলন শিথিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। ফাইল ছবি
বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষার কারণে গতকাল রোববার ও আজ সোমবার আন্দোলন শিথিল করেছেন শিক্ষার্থীরা। ফাইল ছবি

আবরার ফাহাদ হত্যার বিচারসহ বিভিন্ন দাবিতে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) আন্দোলন করছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আজ সোমবার আবরার হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করছেন আন্দোলনকারীরা। কাল মঙ্গলবার থেকে আবার আন্দোলন পুরোদমে চলবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।

বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষার কারণে গতকাল রোববার ও আজ সোমবার আন্দোলন শিথিল করা হয়। আজ সকাল ৯টা থেকে তিন ঘণ্টার লিখিত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা শেষ হয় দুপুর ১২টায়। শান্তিপূর্ণভাবে পরীক্ষা শেষ হয়েছে। মোট পরীক্ষার্থীর ৯০ শতাংশই পরীক্ষায় উপস্থিত ছিলেন বলে জানিয়েছে বুয়েট কর্তৃপক্ষ।

ভর্তি পরীক্ষার কারণে সকাল থেকেই বুয়েট ক্যাম্পাসে ভর্তি-ইচ্ছুক ও তাঁদের অভিভাবকেরা ভিড় করেন। এর মধ্যেই ক্যাম্পাসে শহীদ মিনারের সামনে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে কর্মসূচি পালিত হয়। আবরার হত্যার বিচারের দাবিতে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ কর্মসূচি পালিত হয়। সেখানে অনেক শিক্ষার্থীকেই স্বাক্ষর করতে দেখা যায়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থী সাইদুল আরাফাত বলেন, তাঁরা শিক্ষার পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আন্দোলন করছেন। সব দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলবে।

বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সব দাবি মেনে নিয়েছে, তাহলে আন্দোলন কেন, জানতে চাইলে সাইদুল আরাফাত বলেন, মেনে নেওয়ার ঘোষণা আর বাস্তবায়ন এক নয়। শিক্ষার্থীরা কেবল আশ্বাস নয়, বাস্তবায়নও দেখতে চান।

গত ৬ অক্টোবর শেরেবাংলা হলে আবরারকে পিটিয়ে হত্যা করেন বুয়েট ছাত্রলীগের একদল নেতা-কর্মীরা।

আজ ভর্তি পরীক্ষা চলাকালে কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। এ সময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণে আমরা কাজ করছি। আবরার হত্যার প্রতিবাদে চলমান আন্দোলন ভর্তি পরীক্ষায় প্রভাব ফেলেনি। বুয়েটের সংকট নিরসনে কয়েকটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি আমরা মেনে নিয়েছি। আশা করি, দ্রুতই সংকট নিরসন হবে।’

উপাচার্য জানান, বুয়েটের হলে হলে অভিযান অব্যাহত থাকবে। নিয়মিত শিক্ষার্থীদের বাইরে কেউ হলে থাকতে পারবেন না। বুয়েটে ছাত্র-শিক্ষকদের সাংগঠনিক রাজনীতিও থাকবে না।