শিশু তুহিন হত্যা: বাবাসহ তিনজন ৩ দিনের রিমান্ডে

তুহিন মিয়া
তুহিন মিয়া

সুনামগঞ্জে পাঁচ বছরের শিশু তুহিন মিয়াকে হত্যার ঘটনায় আজ মঙ্গলবার বিকেলে তার বাবা আবদুল বছিরসহ তিনজনের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বাকি দুজন হলেন তুহিনের চাচা আবদুল মছব্বির ও প্রতিবেশী জমসের আলী।

পুলিশ তুহিনের মা মনিরা বেগমের দায়ের করা মামলায় এই তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সুনামগঞ্জের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে হাজির করে। তাদের প্রত্যেককে পাঁচ দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। বিচারক শ্যাম কান্ত সিনহা প্রত্যেকের তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সুনামগঞ্জে পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, এই মামলায় এখন পর্যন্ত পাঁচজনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। অন্য দুজন হলেন তুহিনের আরেক চাচা নাসির মিয়া ও চাচাতো ভাই শাহরিয়ার।

গত রোববার রাতের কোনো এক সময় শিশু তুহিনকে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার তুহিনের মা মনিরা বেগম অজ্ঞাত ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে দিরাই থানায় হত্যা মামলা করেন। তবে গতকাল দুপুর থেকেই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে তুহিনের বাবা, চার চাচা, এক চাচি ও এক চাচাতো বোনকে।

সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান আজ দুপুরে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনায় তুহিনের পরিবারের লোকজন জড়িত। প্রতিপক্ষের লোকজনকে ফাঁসাতে পরিকল্পিতভাবে এই কাজ করা হয়েছে। কে, কারা, কখন, কীভাবে তাকে হত্যার করেছে; সবকিছু তারা জেনেছেন।

শিশু তুহিনের বয়স মাত্র পাঁচ বছর। কদম গাছের ডালে ঝুলছিল তার নিথর দেহ। পেটে ঢোকানো ছিল দুটি লম্বা ছুরি। তার দুটি কান ও যৌনাঙ্গ কেটে ফেলা হয়। এই শিশুর বাড়ি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের কেজাউরা গ্রামে। তার বাবার নাম আবদুল বাছির। তিনি পেশায় কৃষক।