এমপিওভুক্তির দাবিতে আজও অবস্থান করবেন শিক্ষকেরা

এমপিওভুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ধর্মঘট। ফাইল ছবি
এমপিওভুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে নন-এমপিও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীদের ধর্মঘট। ফাইল ছবি

স্বীকৃতি পাওয়া সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দাবিতে এবং এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ চেয়ে আবারও আন্দোলন শুরু করেছেন এমপিওভুক্ত নয়, এমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা। গতকাল মঙ্গলবারের পর আজ বুধবারও তারা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। কিছুক্ষণ আগে আন্দোলনকারী একজন শিক্ষক প্রথম আলোকে জানিয়েছেন, রাতেও কিছু শিক্ষক প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান করছেন। নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক-কর্মচারী ফেডারেশনের ডাকে এই কর্মসূচি চলছে।

এদিকে রাতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এমপিওভুক্তির জন্য বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়েছে। এ বিষয়ে সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকেও সায় দিয়েছেন বলে তিনি শুনেছেন। ফলে যে কোনো সময় এমপিওভুক্তির ঘোষণা হতে পারে। যদিও এ বিষয়ে নাম প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়ের কেউ কিছু বলছেন না।

শিক্ষা মন্ত্রণালয় সূত্রমতে, মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মিলিয়ে ২ হাজার ৭০০-এরও কিছু বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হতে পারে।

এমপিওভুক্ত হলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক-কর্মচারীরা সরকার থেকে মাসে মূল বেতন ও কিছু ভাতা পান। বর্তমানে সারা দেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রায় ২৮ হাজার। এগুলোতে শিক্ষক-কর্মচারী আছেন প্রায় ৫ লাখ। স্বীকৃতি পেলেও এমপিওভুক্ত না হওয়া প্রতিষ্ঠান আছে সাড়ে ৫ হাজারের মতো। আর স্বীকৃতি না পাওয়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আছে আরও কয়েক হাজার।

সর্বশেষ ২০১০ সালে ১ হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়েছিল। এরপর থেকে এমপিওভুক্তির দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলন চলছে। আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর এমপিওভুক্তির জন্য জনবলকাঠামো ও এমপিও নীতিমালা জারি করে আবেদন নেওয়া হয়। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রমের স্বীকৃতি, শিক্ষার্থী ও পরীক্ষার্থীর সংখ্যা এবং পরীক্ষায় পাসের হার—এই চার মানদণ্ডের ভিত্তিতে ৯ হাজার ৬১৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবেদন করে। এরপর যাচাই করে সেগুলোর মধ্যে থেকে যোগ্য প্রতিষ্ঠানের তালিকা চূড়ান্ত করা হয়।