মেনন মহাসত্যটি স্বীকার করেছেন: রিজভী

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ও ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন

একাদশ সংসদ নির্বাচন নিয়ে ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেননের করা মন্তব্যকে মহাসত্য বলেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ‘নিশিরাতের সরকারের সঙ্গী রাশেদ খান মেনন যে কোনো কারণেই হোক, এবার নিজের মুখে মহাসত্যটি স্বীকার করেছেন।’

আজ রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন রুহুল কবির রিজভী। রাজধানী ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন হয়।

গতকাল শনিবার বরিশালে ওয়ার্কার্স পার্টির বরিশাল জেলা শাখার সম্মেলনে রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মানুষ ভোটকেন্দ্রে যায়নি। এর বড় সাক্ষী আমি নিজেই। আজ মানুষ তাদের ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত।’ 

রাশেদ খান মেনন ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকার গঠনের পর মন্ত্রী হয়েছিলেন। তাঁর দল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক। তিনি একাদশ সংসদ নির্বাচনে সাংসদও নির্বাচিত হয়েছেন।

রাশেদ খান মেননের এই বক্তব্য প্রসঙ্গে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘অবশেষে সত্য কথাটা অকপটে জনগণের সামনে স্বীকার করতে হলো মেনন সাহেবকে। বিবেকের তাড়নায় মেনন সাহেব যে সত্য কথাগুলি বলতে শুরু করেছেন, হয়তো কয়েক দিন পর ওবায়দুল কাদের এবং হাছান মাহমুদরাও বলবেন। আর এই কথাগুলি যতই তাঁদের নিকট থেকে বেরিয়ে আসবে, ততই বন্ধক রাখা আত্মা মুক্ত হবে।’

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘কথায় বলে, ধর্মের কল বাতাসে নড়ে। সত্যকে কখনো ধামাচাপা দেওয়া যায় না। সত্য কোনো না কোনোভাবে প্রকাশিত হয়ই।’

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতে জনগণের ভোট ডাকাতি করে রাতের গর্ভে সরকারের জন্ম দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এত বড় দুর্নীতি, এত বড় কলঙ্ক, জনগণের ভোট নিয়ে এত বড়ো জুয়া খেলা অতীতে আর কখনোই ঘটেনি। নির্বাচনের নামে ২০১৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও প্রশাসনের কর্মকর্তাদের দিয়ে জনগণের ভোট কেটে নেওয়া ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভোট ডাকাতিকেও হার মানিয়েছে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, গত এক দশকে দেশে দুর্নীতি-অনাচার-দুর্বৃত্তায়ন এখন এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে চরিত্রহীন সুবিধাবাদী মানুষেরা আওয়ামী লীগকে মনে করছে টাকা বানানোর হাতিয়ার।