গাড়ি বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের মামলায় বিএনপির সাংসদ হারুনসহ ৩ জনের কারাদণ্ড

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থেকে নির্বাচিত সাংসদ এবং বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুন অর রশীদকে মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। ছবি: দীপু মালাকার
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থেকে নির্বাচিত সাংসদ এবং বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুন অর রশীদকে মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। ছবি: দীপু মালাকার

শুল্কমুক্ত গাড়ি এনে তা বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের ঘটনায় করা মামলায় বিএনপির সাংসদ হারুন অর রশিদসহ তিনজনকে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪–এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এই রায় দেন। প্রথম আলোকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন দুদকের আদালত পরিদর্শক আশিকুর রহমান।

আশিকুর রহমান বলেন, দুর্নীতির এই মামলায় বিএনপির সাংসদ হারুন অর রশিদকে পাঁচ বছর কারাদণ্ড এবং ৫০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আর ব্যবসায়ী এনায়েতুর রহমানকে দুই বছর কারাদণ্ড এবং ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গাড়ি ব্যবসায়ী ইশতিয়াক সাদেককে তিন বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে এবং জরিমানা করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা। হারুন অর রশিদ ছাড়া বাকিরা পলাতক।

ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের হাজতখানার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মইনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হারুন অর রশিদকে আদালতের হাজতখানায় রাখা হয়।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থেকে নির্বাচিত এমপি এবং বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুন অর রশীদকে মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। ছবি: দীপু মালাকার
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর থেকে নির্বাচিত এমপি এবং বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হারুন অর রশীদকে মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে। ছবি: দীপু মালাকার

এ সময় ব্যবসায়ী এনায়েতুর রহমানের আইনজীবী আমিনুল গণী টিটো প্রথম আলোকে বলেন, সাংসদ থাকা অবস্থায় শুল্কমুক্ত গাড়ি এনে তা বিক্রি করে টাকা আত্মসাতের মামলায় হারুন অর রশিদসহ তিনজনের বিরুদ্ধে এই মামলা হয় ২০০৭ সালে। দণ্ডবিধির ৪০৯ এবং কাস্টমস অ্যাক্টের ১৫৬ ধারায় হারুন অর রশিদ, ব্যবসায়ী এনায়েতুর রহমান এবং গাড়ি ব্যবসায়ী সাদেককে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মামলার কাগজপত্রের তথ্য বলছে, সাংসদ থাকা অবস্থায় শুল্কমুক্ত গাড়ি এনে তা বিক্রির ঘটনায় বিএনপির সাংসদ হারুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা হয় ২০০৭ সালের ১৭ মার্চ। মামলার বাদী হলেন পুলিশের উপপরিদর্শক ইউনুস আলী। মামলাটি তদন্ত করে সাংসদ হারুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ওই বছরের ১৮ জুলাই আদালতে অভিযোগপত্র দেন দুদকের সহকারী পরিচালক মোনায়েম হোসেন। অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে হারুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ২০ আগস্ট বিচার শুরু করেন আদালত।