রাজশাহীতে নভেম্বর থেকে চলবে ২ রঙের অটোরিকশা

ওয়ার্কশপে নতুন করে অটোরিকশা তৈরিতে ব্যস্ত শ্রমিকেরা। রাজশাহী নগরের হাদীর মোড় এলাকায়।  ছবি: প্রথম আলো
ওয়ার্কশপে নতুন করে অটোরিকশা তৈরিতে ব্যস্ত শ্রমিকেরা। রাজশাহী নগরের হাদীর মোড় এলাকায়। ছবি: প্রথম আলো

যানজট নিরসনে আগামী মাসের শুরু থেকে রাজশাহী সিটি করপোরেশন (রাসিক) এলাকায় নিয়ন্ত্রণ করা হবে অটোরিকশা চলাচল। দিনের দুই ভাগে পালাবদল করে চলাচল করবে মেরুন ও পিত্তি (সবুজ) রঙের অটোরিকশা। আসনবিন্যাস অনুযায়ী ভাগ করা হবে অটোরিকশাগুলোকে। নিবন্ধন দেওয়া হবে দশ হাজার ছয় আসনের ও পাঁচ হাজার দুই আসনের অটোরিকশাকে। নিষিদ্ধ করা হবে ব্যাটারিচালিত তিন চাকার রিকশা।

গত রোববার রাজশাহী সিটি করপোরেশনে মহানগরের অটোরিকশা বিক্রয় কেন্দ্র ও গ্যারেজ মালিকদের এক মতবিনিময় সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এর আগে গত ১ জুলাই ‘স্মার্ট অটোরিকশা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ নামের এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন রাসিক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান।

প্রকল্পের নীতিমালা অনুযায়ী, মহানগরেসকাল ও বিকেল দুই পালায় দুই রঙের গাড়ি চলবে। অটোরিকশার মালিক ও চালকদের দেওয়া হবে স্মার্ট কার্ড। মাসের প্রথম ও তৃতীয় সপ্তাহে সকাল ছয়টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত মেরুন রঙের অটোরিকশা এবং বেলা আড়াইটা থেকে রাত সাড়ে দশটা পর্যন্ত পিত্ত রঙের অটোরিকশা চলাচল করবে। এ ছাড়া মাসের দ্বিতীয় ও চতুর্থ সপ্তাহে সকাল ছয়টা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত পিত্ত রং ও বেলা দুইটা থেকে রাত সাড়ে দশ পর্যন্ত মেরুন রঙের অটোরিকশা চলাচল করবে। তবে শুক্রবারসহ সরকারি ছুটির দিনে সারা দিন এবং প্রতিদিন রাত সাড়ে দশটা থেকে সকাল ছয়টা পর্যন্ত দুই রঙের অটোরিকশাই চলতে পারবে।

রোববারের ওই মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন প্যানেল মেয়র-১ সরিফুল ইসলাম। তিনি জানান, ‘স্মার্ট অটোরিকশা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ নামের এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে দেশের বিভাগীয় শহরে এটাই হবে প্রথম দুই রঙের যান চলাচলব্যবস্থা। এর মাধ্যমে সিটি করপোরেশনের লাইসেন্সবিহীন রিকশা ও অটোরিকশা চলাচলও বন্ধ হয়ে যাবে।

অটোরিকশার নিবন্ধনের খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছয় আসনের দশ হাজার অটোরিকশার মধ্যে গতকাল সোমবার পর্যন্ত নিবন্ধন করেছে ৬১৯টি অটোরিকশা। আর দুই আসনের অটোরিকশা নিবন্ধন নিয়েছে ৪০৮টি। লাইসেন্স নিয়েছেন ৭৩১ জন চালক।

গতকাল নগরের দুই আসনের চার্জার রিকশা প্রস্তুতকারী কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে গিয়ে দেখা যায়, নতুন রিকশা তৈরির কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন শ্রমিকেরা। নগরের তালাইমারী এলাকার বর্ষা ওয়েল্ডিং ওয়ার্কশপের মালিক নয়ন কুমার ঘোষ বলেন, সিটি করপোরেশন এলাকায় এসব রিকশা আর বিক্রি হবে না। বাইরের এলাকায় বিক্রির জন্য তৈরি করা হচ্ছে। ভদ্রা এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রেড হাউসের মালিক এনামুল হক বলেন, এখন শুধু ফরমাশের ভিত্তিতে রিকশা তৈরি করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠান নিজ উদ্যোগে বিক্রির জন্য আর এ কাজ করছে না।