নিজেদের ৮ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক অনুসন্ধানে দুদক

ক্ষমতার অপব্যবহারসহ বিভিন্ন অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রশাসনিক অনুসন্ধান শুরু করেছে সংস্থাটি। এঁদের মধ্যে সংস্থাটির তিনজন উপপরিচালক, দুজন সহকারী পরিচালক ও তিনজন উপসহকারী পরিচালক রয়েছেন।

আজ মঙ্গলবার সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সভাপতিত্বে ‘অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমন কমিটির’ এক সভায় এ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে আটটি আলাদা অভিযোগের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত হয়।

দুদকের নিজস্ব কর্মকর্তাদের নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে ‘অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমন কমিটি’ রয়েছে। সংস্থার চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ কমিটির প্রধান। কমিটির দুই সদস্য হলেন দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত ও মহাপরিচালক (আইন) মো. মফিজুর রহমান ভূঞা।

এ বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ বলেন, ‘কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কমিশন প্রদত্ত আইন ও বিধিমালার আওতায় ক্ষমতা প্রয়োগ করে থাকেন। তাদের কেউ যদি এই ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে অনিয়ম, দুর্নীতি, নির্ধারিত সময়ে অনুসন্ধান বা তদন্তকাজ শেষ না করেন কিংবা ক্ষমতার অপব্যবহার করে কাউকে হয়রানি করেন-তাহলে অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি দমন কমিটি তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ অব্যাহত রাখবে। যারা কমিশন প্রদত্ত ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন, তাদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।’

কমিটির সভায় কেউ কোনো প্রকার দুর্নীতি বা অনিয়মের আশ্রয় গ্রহণ করেছেন কি না, কোনো ব্যক্তিকে অযথা হয়রানি করেছেন কি না অথবা ক্ষমতার অপব্যবহারসহ অন্য কোনো অপরাধ করছেন কি না এ জাতীয় কয়েকটি অভিযোগ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

বৈঠকে কমিটির দুই সদস্য দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখত ও মহাপরিচালক (আইন) মো. মফিজুর রহমান ভূঞা এবং মহাপরিচালক (প্রশাসন) মো. জহির রায়হান ও পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ) জালাল সাইফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।