জেনে-বুঝে প্রকৌশলী হওয়ার প্রত্যয় শিক্ষার্থীদের

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জিপিএইচ ইস্পাত-প্রথম আলো ইন-জিনিয়াস’ প্রতিযোগিতার পরিচয়পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাবনা, ২২ অক্টোবর। ছবি: হাসান মাহমুদ
পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জিপিএইচ ইস্পাত-প্রথম আলো ইন-জিনিয়াস’ প্রতিযোগিতার পরিচয়পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাবনা, ২২ অক্টোবর। ছবি: হাসান মাহমুদ

পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘জিপিএইচ ইস্পাত-প্রথম আলো ইন-জিনিয়াস’ প্রতিযোগিতার পরিচয়পর্ব অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সেমিনারকক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জেনে-বুঝে প্রকৌশলী হওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের কাজে উৎসাহ দিতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পুরকৌশল বিভাগে পড়া শিক্ষার্থীদের নিয়ে জিপিএইচ ইস্পাত ও প্রথম আলো এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীরা পরিচয়পর্বে অংশ নেন।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান রাকিবুল হাসান। তিনি বলেন, নির্মাণ প্রকৌশলীদের অনুমানের ভিত্তিতে কাজ করার সুযোগ নেই। জেনে-বুঝে ও পণ্যের সঠিক মান যাচাই করে নকশা তৈরি করতে হয়। ‘জিপিএইচ ইস্পাত-প্রথম আলো ইন-জিনিয়াস’ প্রতিযোগিতা আয়োজনের জন্য আয়োজকদের ধন্যবাদও জানান তিনি।

পাবনায় ‘জিপিএইচ ইস্পাত-প্রথম আলো ইন-জিনিয়াস’ প্রতিযোগিতার পরিচয়পর্বে বক্তব্য দেন প্রথম আলোর যুব কার্যক্রমের প্রধান মুনির হাসান। পাবনা, ২২ অক্টোবর। ছবি: হাসান মাহমুদ
পাবনায় ‘জিপিএইচ ইস্পাত-প্রথম আলো ইন-জিনিয়াস’ প্রতিযোগিতার পরিচয়পর্বে বক্তব্য দেন প্রথম আলোর যুব কার্যক্রমের প্রধান মুনির হাসান। পাবনা, ২২ অক্টোবর। ছবি: হাসান মাহমুদ

প্রথম আলোর যুব কার্যক্রমের প্রধান মুনির হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন জিপিএইচ ইস্পাতের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবদুল ওয়াহাব, সয়েল অ্যান্ড স্ট্রাকচার লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী মাহবুব মুর্শেদ প্রমুখ। আবদুল ওয়াহাব বলেন, প্রকৌশলীদের নির্মাণে পরিপূরক সবকিছু মাথায় রাখতে হবে। সব বিষয়ে ধারণা নিয়ে নকশা তৈরি করতে হবে। তবেই নির্মাণ মজবুত হবে। মাহবুব মুর্শেদ বলেন, শিক্ষার্থীদের পাস করে নামের সঙ্গে শুধু ইঞ্জিনিয়ার শব্দটি লাগালেই চলবে না। বাস্তব ও মাঠপর্যায়ে কাজ করে নিজেদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে।

বক্তব্য পর্ব শেষে শুরু হয় প্রশ্নোত্তরপর্ব। প্রকৌশলবিদ্যার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একের পর এক প্রশ্ন করেন শিক্ষার্থীরা। অতিথিরা শিক্ষার্থীদের এসব প্রশ্নের উত্তর দেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের ডিন শেখ রাসেল আল আহম্মেদ, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রাশেদুল হক, প্রভাষক আতাউজ্জামান ও আয়েশা সিদ্দিকা।