যুক্তির পর যুক্তি, এরপর প্রতিপক্ষের সে যুক্তি খণ্ডন করা। কোনো পক্ষই কাউকে ছাড় দিচ্ছে না। বিজয়ী হতে হবে যে! অবশেষে তর্ক-বিতর্ক আর যুক্তির বাহাসে জিতে গেল বাংলাদেশ টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুটেক্স) দলটি।
শনিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হলো ‘একশনএইড-প্রথম আলো বন্ধুসভা জাতীয় বিতর্ক উৎসব ২০১৯’। একশনএইড বাংলাদেশ ও প্রথম আলো বন্ধুসভার আয়োজনে রাজধানীর সোবহানবাগে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির মিলনায়তনে হয় এই বিতর্ক প্রতিযোগিতা। পৃষ্ঠপোষকতায় ছিল নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ উৎসবের স্লোগান, ‘গৃহস্থালির সেবামূলক কাজের মূল্যায়ন; আনবে সমতা, করবে উন্নয়ন’।
ঢাকার ২২টি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ উৎসবে অংশ নেন। সারা দিন যুক্তি, পাল্টাযুক্তি ও বাহাসের যুদ্ধে অবশেষে বিজয়ী হয় বুটেক্স দলটি। আর রানারআপ হয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের দলটি। উৎসবে শ্রেষ্ঠ বক্তা হিসেবে পুরস্কার পান বুটেক্স দলের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শাকিল আহমেদ।
বিতর্কের এ উৎসব শেষ হয় রাত নয়টার দিকে। বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন গাইবান্ধার নারী মোসাম্মত হাসিনা আক্তার ও লালমনিরহাটের নারী দুলালী রানী। আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক মুমিত আল রশিদ, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সহকারী পরিচালক বেলাল হোসেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব জাবেদ হায়দার, একশনএইডের প্রোগ্রাম অফিসার নূরে জান্নাত, টিআইবির উপ-অনুষ্ঠান ব্যবস্থাপক জাফর সাদিক, বন্ধুসভার জাতীয় পর্ষদের সভাপতি সাইদুজ্জামান ও ঢাকা মহানগর বন্ধুসভার সভাপতি জান্নাতুল বাকের।
এর আগে সকাল নয়টার দিকে এই বিতর্ক উৎসবের উদ্বোধন হয়। বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধনের পর হয় আলোচনা পর্ব। সে পর্বের শুরুতে অনুষ্ঠানে উপস্থিত পুরুষেরা চলে আসেন অনুষ্ঠানের মূল মঞ্চে। ডান হাত সামনে তুলে একসঙ্গে বললেন, ‘আজ থেকে আমি বাসায় যে কাজগুলো আছে, যে কাজগুলো আমাদের বোনেরা করে, মায়েরা করে—গৃহস্থালির সেসব কাজ ভাগাভাগি করে সম্পন্ন করব।’
উৎসবের উদ্বোধনী পর্বে উপস্থিত ছিলেন রিসার্চ ইনিশিয়েটিভস বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক মেঘনা গুহঠাকুরতা, একশনএইডের পাওয়ার প্রকল্প সমন্বয়কারী ইসরাত জাহান, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান মো. সবুর খান এবং প্রথম আলোর সহযোগী সম্পাদক আনিসুল হক। উদ্বোধনী পর্ব উপস্থাপনা করেন ঢাকা মহানগর বন্ধুসভার সাধারণ সম্পাদক কামরুন্নাহার মৌসুমী।