২টি ইলিশ ও ৫০০ টাকার বিনিময়ে অভিযানের তথ্য পাচার করতেন তিনি

ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

মা ইলিশ রক্ষার অভিযানের খবর আগেই জেলেদের কাছে মুঠোফোনে পৌঁছে দেওয়ার অভিযোগে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহায়ক আবদুল বারেককে (৩৫) সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী এই বরখাস্তের আদেশ দেন।

অভিযানের আগাম খবর সংগ্রহের দায়ে ইকবাল হোসেন (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত। ইকবাল জেলেদের প্রতিনিধি হিসেবে সোর্সের কাজ করেন। তাঁর বাড়ি নলছিটির ভৈরবপাশা ইউনিয়নের ঈশ্বরকাঠি গ্রামে। বাবার নাম কাঞ্চন আলী।

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এনডিসি) মো. বশির গাজী জানান, প্রতিদিন শহরের সুতালড়ি এলাকা থেকে স্পিডবোট নিয়ে সুগন্ধা ও বিষখালী নদীতে মা ইলিশ রক্ষার অভিযানে যায় প্রশাসনের বিভিন্ন দল। স্পিডবোট চালু করার সঙ্গে সঙ্গে জেলেদের কাছে এ-সংক্রান্ত তথ্য মুঠোফোনে পৌঁছে যেত। ফলে নদীতে গিয়ে ইলিশশিকারি জেলেদের পাওয়া যেত না। গতকাল বিকেলে সুতালড়ি এলাকার সুগন্ধা নদীর পাড় থেকে ইকবাল হোসেন নামের একজন ব্যক্তিকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরার সময় আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জেলেদের প্রতিনিধি হিসেবে সোর্সের কাজ করার কথা জানান। তাঁর মুঠোফোনটি জব্দ করা হয়। তাঁকে নিয়েই স্পিডবোটে অভিযানে বের হয় প্রশাসনের দল। এ সময় ইকবালের মুঠোফোনে কল করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহায়ক আবদুল বারেক। স্পিডবোট যাচ্ছে বলে তিনি ইকবালকে সতর্ক করে দেন। কলটি রিসিভ করেন তিনি (বশির গাজী)। ফলে তথ্য পাচারের বিষয়টি পরিষ্কার হয়।

অভিযানের সময় সুগন্ধা নদী থেকে ৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ২৫ কেজি ইলিশ উদ্ধার করা হয়।

জিজ্ঞাসাবাদে ইকবাল জানান, অভিযানের আগাম তথ্য পাচার করার জন্য জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহায়ক আবদুল বারেককে প্রতিদিন ৫০০ টাকা ও দুটি ইলিশ মাছ দেওয়া হতো। ইকবাল তথ্য পেয়ে অন্য জেলেদের জানিয়ে দিতেন।

বিষয়টি এনডিসি বশির গাজী জেলা প্রশাসককে জানান। আবদুল বারেককে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ দেন জেলা প্রশাসক।

অভিযানের সময় সুগন্ধা নদী থেকে ৫ হাজার মিটার কারেন্ট জাল ও ২৫ কেজি ইলিশ মাছ উদ্ধার করা হয়।