১৯ দিনের ছেলেকে চুবিয়ে হত্যার অভিযোগে বাবা আটক

জন্মের ১৯ দিনের মাথায় ছেলেকে বালতির পানিতে চুবিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক বাবার বিরুদ্ধে। গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার ভাংনাহাটি গ্রামে শিশুর নানা বাড়ির বাথরুম থেকে আজ রোববার সকালে লাশটি উদ্ধার করা হয়। আটক করা হয় ওই বাবাকে।

নিহত শিশুটির নাম আবদুল্লাহ আল মাহাদী। শিশুটির বাবা বিজয় হাসান (২৩) শ্রীপুরের গাজীপুর ইউনিয়নের নগরহাওলা গ্রামের শামসুল হকের ছেলে। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে একই উপজেলার ভাংনাহাটি গ্রামের মোফাজ্জল হোসেনের মেয়ে মোসাম্মাত মুন্নির সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়।

শিশুর নানা মোফাজ্জাল হোসেন দাবি করেন, শিশুর বাবা বিজয় মাদকাসক্ত। বিয়ের পর থেকে বিজয় যৌতুকের জন্য স্ত্রীকে চাপ দিতে থাকেন। একপর্যায়ে বিজয়কে দুই লাখ টাকায় মোটরসাইকেল কিনে দেওয়া হয়। এরপরও ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন বিজয়। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বাগ্‌বিতণ্ডা হতো। বিভিন্ন সময় স্ত্রীকে তিনি মারধর করেছেন। গত আগস্টে ঈদুল আজহার পর তিনি মেয়েকে তাঁর বাড়িতে এনে রাখেন। ৮ অক্টোবর শিশুটির জন্ম হয়। ছেলের জন্মের পর থেকে বিজয় এই বাড়িতে নিয়মিত আসা-যাওয়া শুরু করেন। গতকাল শনিবার রাত একটার দিকে বিজয় শ্বশুর বাড়িতে আসেন। আজ ভোর সাড়ে ৬টার দিকে শিশুর নানি শিশুটিকে বিছানায় না পেয়ে চিৎকার শুরু করেন। পরে বাথরুমের বালতির পানিতে তার মরদেহ পাওয়া যায়। রাতের কোনো এক সময় বিজয় শিশুটিকে নিয়ে পানিতে চুবিয়ে মেরে ফেলেছে বলে মনে করছেন তিনি।

শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) নাজমুল সাকিব বলেন, শিশুটিকে হত্যার কথা অস্বীকার করেছেন বাবা বিজয় হাসান। শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তে জন্য পাঠানো হয়েছে।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী জানান, ‘আমরা ঘটনাটি তদন্ত করছি। তদন্তের পর বিস্তারিত বলা যাবে। শিশুর বাবা থানা হেফাজতে আছেন।’