ময়মনসিংহে ককশিটের গুদামে আগুন, একজনের মৃত্যু

ময়মনসিংহ নগরের একটি ককশিটের গুদামে আজ সোমবার আগুন লাগে। আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘরের ধ্বংসাবশেষ। আমপট্টি, ময়মনসিংহ, ২৮ অক্টোবর। ছবি: আনোয়ার হোসেন
ময়মনসিংহ নগরের একটি ককশিটের গুদামে আজ সোমবার আগুন লাগে। আগুনে পুড়ে যাওয়া ঘরের ধ্বংসাবশেষ। আমপট্টি, ময়মনসিংহ, ২৮ অক্টোবর। ছবি: আনোয়ার হোসেন

ময়মনসিংহ নগরের আমপট্টি এলাকায় আজ সোমবার আধুনিক কুঞ্জ ঘর নামে একটি ককশিটের দোকানের গুদাম আগুনে পুড়ে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের ৬টি ইউনিট দেড় ঘন্টা চেষ্টা করে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে পুড়ে সুমন দাস (২৫) নামের এক দোকান কর্মচারী মারা গেছেন। মুক্তাগাছা উপজেলার ফিসারীর মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ি।

পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, আজ ভোর সাড়ে ৬টার দিকে আমপট্টি এলাকায় আধুনিক কুঞ্জ ঘর নামের দোকানের গুদামে আগুন লাগে। স্থানীয়রা ধোঁয়া দেখতে পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের সহায়তায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আগুনে গুদামের মালামাল পুড়ে গেছে।

ময়মনসিংহ নগরের একটি ককশিটের গুদামে আজ সোমবার আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া সুমন দাসের মায়ের আর্তনাদ। আমপট্টি, ময়মনসিংহ, ২৮ অক্টোবর। ছবি: আনোয়ার হোসেন
ময়মনসিংহ নগরের একটি ককশিটের গুদামে আজ সোমবার আগুনে পুড়ে মারা যাওয়া সুমন দাসের মায়ের আর্তনাদ। আমপট্টি, ময়মনসিংহ, ২৮ অক্টোবর। ছবি: আনোয়ার হোসেন

স্থানীয়রা জানান, গতকাল রোববার কালীপূজা উপলক্ষে বিভিন্ন পূজামণ্ডপের সাজসজ্জার কাজ শেষে তিন শ্রমিক গভীর রাতে ঘুমাতে যান। তাদের মধ্যে দুজন চলে যান। সুমন দাস ঘুমিয়ে থাকেন।

মশার কয়েল অথবা সিগারেটের আগুন থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স ময়মনসিংহ কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক দিনমণি শর্মা জানান, ঘুমন্ত অবস্থায় পুড়ে মারা যান দোকানের কর্মচারী সুমন দাস। দুর্ঘটনার ক্ষয়ক্ষতি নির্ণয়ের কাজ চলছে। আগুনে পুড়ে যাওয়া মরদেহটি উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এদিকে গতকাল রাত ১২টার দিকে নগরের গাঙ্গিনারপাড় এলাকায় বহুতল ভবন সূচনা শপিং মলের তৃতীয় তলায় আগুন লেগে কয়েকটি কাপড়ের দোকানের মালামাল পুড়ে গেছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট প্রায় দেড় ঘণ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এ সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শেখ হাফিজুর রহমান ও সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আল-আমিন। তাঁরা দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা প্রতিরোধে শহরের সব কটি বহুতল ভবনের অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা পরীক্ষা করবেন বলে জানিয়েছেন এবং সবাইকে আগুন থেকে আরও সতর্ক থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন।