অবৈধ গ্যাস লাইন উচ্ছেদে আশুলিয়ায় অভিযান

তিতাস গ্যাস
তিতাস গ্যাস

ঢাকার আশুলিয়ায় প্রায় এক কিলোমিটার অবৈধ গ্যাস লাইন উচ্ছেদ করেছে তিতাস। বুধবার সর্বশেষ এই অভিযান চালানো হয়। এসব লাইনের আওতায় অন্তত দেড় হাজার পরিবার অবৈধভাবে চুলা ব্যবহার করে আসছিল।

এ নিয়ে এই মাসে আশুলিয়ায় অন্তত সাত হাজার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সাভার ব্যবস্থাপকের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, আশুলিয়ার কাঠগড়া আমতলা এলাকার নিপ্পন হাউজিং ও এর আশপাশের এলাকায় বুধবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এই অভিযান চলে। এ সময় দুই ইঞ্চি ব্যাসার্ধের প্রায় এক কিলোমিটার অবৈধ পাইপ লাইন অপসারণ করা হয়। অভিযানকালে প্রায় চার কিলোমিটার এলাকার সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকে।

তিতাস কর্তৃপক্ষ জানায়, চলতি অক্টোবর মাসে আশুলিয়ার গৌরীপুর, চারাবাগ, শুবন্দি, কাঠগড়া, আমতলা, দোসাইদ, আড়া গাঁওসহ ও আশুলিয়ার ১৩টি স্থানে অভিযান চালানো হয়। এসব এলাকায় অন্তত ৭ হাজার অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারকারীদের অনেকে জানান, এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তিদের মাধ্যমে তাঁরা অবৈধভাবে গ্যাসের সংযোগ নিয়েছিলেন। এ জন্য পরিবার প্রতি তাঁদের ৫০ থেকে ৮০ হাজার টাকা করে দিতে হয়েছে। টাকা পরিশোধের পর রাতে তিতাসের এক শ্রেণির ঠিকাদার এই সংযোগ দিয়ে থাকেন।

এ ধরনের গ্যাস ব্যবহারকারীদের অনেকের ভাষ্য, আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ৫০ হাজার পরিবার অবৈধভাবে তিতাস গ্যাস ব্যবহার করে থাকে। মাঝে-মধ্যে তিতাস কর্তৃপক্ষ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে আবার তাঁদের সংযোগ দেওয়া হয়। অনেক এলাকায় অবৈধ গ্যাস লাইন সংযোগের সঙ্গে জড়িতরা ব্যবহারকারীদের কাছ থেকে বিলের নামে মাসহারাও আদায় করে থাকেন।

তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির সাভার কার্যালয়ের ব্যবস্থাপক আবু সাহাদৎ মো. সায়েম বলেন, আশুলিয়া ও সাভারের বিভিন্ন এলাকায় অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। এই মাসে ছয় দিন আশুলিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়। অনেকের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে।