রাবিতে একশনএইড-প্রথম আলো বন্ধুসভা জাতীয় বিতর্ক উৎসব

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে একশনএইড-প্রথম আলো বন্ধুসভা আয়োজিত রাজশাহী অঞ্চলের জাতীয় বিতর্ক উৎসব-২০১৯ শুরু হয়েছে। ‘গৃহস্থালির সেবামূলক কাজের মূল্যায়ন; আনবে সমতা, করবে উন্নয়ন’ শীর্ষক বিতর্ক উৎসবে সারা দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিতর্ক সংগঠন অংশ নিয়েছে।

একশনএইড এবং প্রথম আলো বন্ধুসভার যৌথ এই আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতা করছে নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের (টিএসসিসি) সামনে থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রা থেকে শাবাশ বাংলাদেশ ভাস্কর্যের সামনে গিয়ে বেলুন উড়িয়ে উৎসবের উদ্বোধন করা হয়। এতে আমন্ত্রিত অতিথি ও বিতার্কিকেরা অংশগ্রহণ করেন।

সকাল ১০টায় টিএসসিতে উদ্বোধনী আলোচনা শুরু হয়। এতে রাজশাহী কলেজের শিক্ষক নূরজাহান বন্যার উপস্থাপনায় প্রথম আলো বন্ধুসভার জাতীয় পর্ষদের সভাপতি সাইদুজ্জামান রওশন শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন। প্রথম আলোর পক্ষে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন প্রথম আলোর রাজশাহীর নিজস্ব প্রতিবেদক আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ। এ ছাড়া স্বাগত বক্তব্য দেন একশনএইড বাংলাদেশের প্রকল্প সমন্বয়কারী ইশরাত জাহান এবং রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র উপদেষ্টা ও সমাজকর্ম বিভাগের অধ্যাপক ছাদেকুল আরেফিন।

অধ্যাপক ছাদেকুল আরেফিন তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘আমাদের দেশে পারিবারিক কাজের ব্যাপারে নারী সদস্যের মতো পুরুষ সদস্যেরা ততটা মনোযোগী নন। সেই জায়গা থেকে পুরুষ সদস্যরা যেন পরিবারের সেবামূলক গৃহস্থালি কাজে এগিয়ে আসেন, সে রকম মনন তৈরি করার জন্য প্রথম আলো বন্ধুসভা ও একশনএইডের এই বিতর্ক অত্যন্ত সময়োপযোগী। সেদিক থেকে এই ধরনের কাজগুলোতে আরও উৎসাহ নিয়ে এগিয়ে আসা প্রয়োজন।’

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান সমাজব্যবস্থায় যেকোনো গৃহস্থালি সেবামূলক কাজের ক্ষেত্রে যে গৃহকর্মীরা কাজ করেন, তাঁদের কাজের আর্থিক মূল্যায়ন একেবারে অবহেলিত পর্যায়ে আছে। সেই জায়গাটাকে গুরুত্ব দিয়ে যে গৃহকর্মীরা গৃহস্থালির সেবামূলক কাজ করেন, তাঁদের শ্রমের মূল্যায়ন করা এবং আর্থিক মূল্য নিরূপণ অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে।’

প্রথম আলোর নিজস্ব প্রতিবেদক আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ উদাহরণ দিয়ে বলেন, ‘অনেক আদিবাসী সমাজেও নারীরা পুরুষের সমানতালে সব ধরনের কাজে অংশ নেন।’

উদ্বোধনী আলোচনার পর রাকসু ভবনে প্রাথমিক পর্বের বিতর্ক শুরু হয়। বিকেল চারটা পর্যন্ত সংসদীয় পদ্ধতিতে বিভিন্ন পর্বের বিতর্ক চলবে। বেলা আড়াইটায় বিতর্ক বিষয়ক একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। বিতর্কের ফাইনাল রাউন্ড শেষে সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।