ঢাকায় গ্রিসের ঐতিহ্যবাহী খাবারের উৎসব

লা মেরিডিয়ানে গ্রিক ফুড ফেস্টিভ্যালে ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ নিচ্ছেন অতিথিরা।
লা মেরিডিয়ানে গ্রিক ফুড ফেস্টিভ্যালে ঐতিহ্যবাহী খাবারের স্বাদ নিচ্ছেন অতিথিরা।

কিমার সঙ্গে বেগুন ও আলু কিংবা এর যেকোনো একটি দিয়ে তৈরি করা হয় মুখরোচক ‘মুসাকা’ নামের খাবারটি। দেশ-বিদেশের পর্যটক ও ভোজনরসিকেরা মনে করেন, গ্রিসে গেলে এই ঐতিহ্যবাহী স্থানীয় খাবারটি একবার হলেও চেখে দেখা উচিত। তবে মুসাকার স্বাদ নিতে এখন আর সক্রেটিস–প্লেটোদের দেশে যেতে হবে না। ভোজনরসিকেরা এখন ঢাকায় বসেই এর স্বাদ আস্বাদন করতে পারবেন। লা মেরিডিয়ান ঢাকায় চলতি ‘গ্রিক ফুড ফেস্টিভ্যালে’ মুসাকার সঙ্গে রয়েছে গ্রিসের আরও হরেক রকমের ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খাবারের সম্ভার।

গ্রিসের স্বতন্ত্র রন্ধনশৈলী এবং রসনার সঙ্গে ঢাকাবাসীর মেলবন্ধন ঘটাতে লা মেরিডিয়ান ঢাকায় আয়োজন করেছে গ্রিসের খাবার উৎসব। গত ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে এই উৎসব, চলবে নভেম্বরের ৯ তারিখ পর্যন্ত। এথেন্সের বিখ্যাত গ্র্যান্ডে ব্রিটানিয়া হোটেলের জুনিয়র সু-শেফ আলেকজান্দ্রোস মার্কিজিয়ানিসের হাতে তৈরি হচ্ছে এসব খাবার। বুফের আয়োজনে এসব গ্রিক খাবারের স্বাদ নেওয়া যাবে।

উৎসবে আছে গ্রিক সালাদ, অক্টোপাস ফ্রিটার, গ্রিক জাইরোস এবং গার্লিক পিউরের সঙ্গে ভাজা কর্ড মাছসহ নানা পদের গ্রিক ও ভূমধ্যসাগরীয় স্বাদের খাবার। এ ছাড়া মধু ও দারুচিনি দিয়ে তৈরি অনন্য স্বাদের লুকোমেডসের সঙ্গে টেবিলে পাওয়া যাবে বিখ্যাত জাজিকি সস।

উৎসবে প্রতিজনের খাবারের খরচ ৩ হাজার ৯০০ থেকে শুরু। এ ছাড়া নির্দিষ্ট কিছু ব্যাংকের কার্ড ব্যবহারকারীরা ‘একটি কিনলে একটি ফ্রি’র বিশেষ ছাড়ের সুযোগ পাবেন।

উৎসব উপলক্ষে লা মেরিডিয়ানের মহাব্যবস্থাপক কনস্ট্যান্টিনোস এস গ্রাভিয়েল বলেন, ইতিহাস এবং ঐতিহ্যের মতোই গ্রিসের খাবারও অন্যতম সেরা। তাই ঢাকাবাসীকে সেই স্বাদ এবং সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে শেফ আলেকজান্দ্রোস মার্কিজিয়ানিস তৈরি করছেন সুস্বাদু এসব খাবার।

উদ্বোধনের দিন গ্রিসের খাবার উৎসবে উপস্থিত ছিলেন গ্রিসে বাংলাদেশের অনারারি কনসাল জেনারেল ফারুক হাসান, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলামসহ আমন্ত্রিত কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূত।