'দুর্নীতির মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়'

দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাৎ। ছবিতে দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম ও সদস্য নমিতা হালদার। ছবি: সংগৃহীত
দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের সঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধি দলের সৌজন্য সাক্ষাৎ। ছবিতে দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম ও সদস্য নমিতা হালদার। ছবি: সংগৃহীত

দুর্নীতির মাধ্যমেই মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয় বলে মন্তব্য করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। তিনি বলেছেন, ‘যারা জনগণের অর্থ লুণ্ঠন করে সম্পদের পাহাড় গড়েন তারাও মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী। কারও অধিকার লঙ্ঘন করেই দুর্নীতি করতে হয়।’

আজ সোমবার জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগমের নেতৃত্বে সাত সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করার সময় তিনি এসব মন্তব্য করেন। সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে দুই কমিশনের প্রধানের এ বৈঠক হয়।

বৈঠকে দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন,‘দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতিষ্ঠান হিসেবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করছে কিনা, সেটাও আপনারা লক্ষ রাখবেন। সমন্বিতভাবে কার্যক্রম পরিচালনা ছাড়া দুর্নীতি-মানবাধিকারের মতো বিষয়গুলোকে কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে আনা কঠিন। সর্বত্র সুশাসন নিশ্চিত করতে আমাদের সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।’

দুদক চেয়ারম্যান আরও বলেন, ‘দুর্নীতি করলে কাউকেই ছাড় দেবে না কমিশন। এ ক্ষেত্রে কোনো পরিচয়ই কাজে আসবে না। দুর্নীতিপরায়ণদের আইনের মুখোমুখি হতেই হবে।
দুদক ও মানবাধিকার কমিশনের মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক সম্পর্ক দৃঢ় করার লক্ষ্যে সমঝোতা স্মারক সাক্ষর করা যেতে পারে বলে মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর মতে এসব প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য প্রায় অভিন্ন। সুশাসন প্রতিষ্ঠাই মূল লক্ষ্য।’

বৈঠক শেষ দুদক কার্যালয়ের সামনে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, যিনি দুর্নীতি করেন তিনি অন্যের অধিকার হরণ করেন। দুর্নীতির মাধ্যমে মানবাধিকার লঙ্ঘন হয়। কারণ আমার আপনার অধিকার ও প্রাপ্য অন্যের পকেটে চলে যায়। সে জায়গায় আমরা বাঁধা হয়ে দাঁড়াতে চাই।

এক প্রশ্নের জবাবে নাছিমা বেগম বলেন, ‘বহু এনজিও আছে যাদের নামের কারণে মানুষ মনে করে ওটাই মানবাধিকার কমিশন। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আর তথাকথিত মানবাধিকার কমিশন এক না। মানুষ যেন তাদের দ্বারা বিভ্রান্ত না হয়। তাদের দ্বারা যেন উদ্বুদ্ধ না হয়। ওই এনজিওদের কাজ এনজিও করে, আর রাষ্ট্রীয় মানবাধিকার কমিশনের কাজ আলাদা।’
যদি কেউ মানবাধিকার কমিশনের নাম করে অন্যায় কাজ করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে বৈঠকে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মানবাধিকার কমিশনের সদস্য কামাল উদ্দিন আহমেদ, নমিতা হালদার প্রমুখ।