নেত্রকোনায় এক শিয়াল কামড়ে দিল ৬ জনকে

নেত্রকোনার কলমাকান্দায় একটি শিয়ালের কামড়ে দুই নারীসহ ছয়জন আহত হয়েছেন। গতকাল বুধবার রাত পৌনে ৯টার দিকে রংছাতি ইউনিয়নের মণিপুর পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত ব্যক্তিরা হলেন মণিপুর পাড়ার বাসিন্দা ওয়াজেদ আলী (৪৫), মো. নজরুল ইসলামের মেয়ে তামান্না আক্তার (১৫), সন্দেশ আলীর স্ত্রী সোনা বানু (৫০), আবদুর মজিদ (৫০), সোনা মিয়া (৪৮) ও মো. আল আমিনের স্ত্রী পারভিনা আক্তার (২০)।

স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত পৌনে ৯টার দিকে মণিপুর পাড়া গ্রামের কৃষক ওয়াজেদ আলী নিজের বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় একটি শিয়াল এসে তাঁকে কামড় দেয়। ওয়াজেদ আলীর চিৎকারে প্রতিবেশীরা ঘর থেকে বের হয়ে এলে ওই শিয়াল একে একে আরও পাঁচজনকে কামড়ে দেয়। শিয়ালটি দৌড়ে গোয়াল ঘরে ঢুকে সেখানে থাকা একটি গরুকে কামড়ে পালিয়ে যায়।

স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁদের জলাতঙ্ক রোগের প্রতিষেধক ইনজেকশন দেওয়ার পরামর্শ দেন। কিন্তু ওই হাসপাতালে জলাতঙ্কের কোনো প্রতিষেধক ইনজেকশন নেই। রোগীদের স্বজনেরা কলমাকান্দা উপজেলা সদরের ওষুধের দোকান থেকে ইনজেকশন আনার চেষ্টা করেন। তবে সেখানেও এই ওষুধ পাওয়া যায়নি। পরে আজ বৃহস্পতিবার সকালে নেত্রকোনা শহরের বাইরের দোকান থেকে ওষুধ সংগ্রহ করে শিয়ালের কামড়ের শিকার লোকজনকে ইনজেকশন দেওয়া হয়।

রংছাতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান তাহেরা খাতুন বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনে আহতদের খোঁজ নিয়েছি। ধারণা করা হচ্ছে, শিয়ালটি হয়তো পাগল হয়ে গেছে। এটি আরও মানুষকে কামড়াতে পারে।’

কলমাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে জলাতঙ্ক রোগের কোনো ধরনের প্রতিষেধক ইনজেকশনের সরবরাহ নেই। এ জন্য শিয়ালে কামড় দেওয়া ব্যক্তিদের নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে গিয়ে প্রতিষেধক ইনজেকশন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

জেলা সিভিল সার্জন মো. তাজুল ইসলাম বলেন, জলাতঙ্কের প্রতিষেধক শুধু সদর হাসপাতাল থেকেই রোগীদের দেওয়া হয়। ওই হাসপাতালে ওষুধের পর্যাপ্ত সরবরাহ আছে।