মামলা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই অবৈধ সম্পদ জব্দ: দুদক চেয়ারম্যান

ভারতের সিবিআই একাডেমিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। ছবি: দুদকের সৌজন্যে
ভারতের সিবিআই একাডেমিতে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। ছবি: দুদকের সৌজন্যে

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত অবৈধ সম্পদ অর্জনের ক্ষেত্রে মামলা করার সঙ্গে সঙ্গেই আইনি প্রক্রিয়ায় ওই সব সম্পদ জব্দ করতে পারে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ভারতের সিবিআইয়ের আদলে এটা করাই সমীচীন বলে মনে করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। এ ছাড়া ফাঁদ পেতে আসামি গ্রেপ্তারের সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের বাসায় তল্লাশি করার বিষয়টিও বিবেচনা করা যেতে পারে বলে মনে করেন তিনি।

আজ বৃহস্পতিবার সেগুনবাগিচায় দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ভারতের সিবিআই একাডেমিতে প্রশিক্ষণ নিয়ে আসা কর্মকর্তাদের অভিজ্ঞতা বিনিময় অনুষ্ঠানে চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। চেয়ারম্যান বলেন, যেসব কর্মকর্তা বিদেশে প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন এবং নেবেন, তাঁরা নিজ নিজ কাজে অন্তত একটি শিক্ষার প্রয়োগ ঘটাবেন। এ ক্ষেত্রে পদ্ধতিগত কোনো সমস্যা হলে সবার মতামত নিয়ে একটি পদ্ধতি উদ্ভাবন করবেন এবং তা কমিশন বিচার-বিশ্লেষণ করে কমিশনের কর্ম-প্রক্রিয়ায় সংযুক্ত করবে।

দুদক চেয়ারম্যান বলেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশন আইন অনুসারে অত্যন্ত শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান। তবে আমাদের সক্ষমতার কিছুটা ঘাটতি আছে। তাই সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দেশ-বিদেশে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে আমাদের যে অঙ্গীকার, তা বাস্তবায়নে সবাইকে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’ এ সময় তিনি দুদকের গোয়েন্দা ইউনিটের প্রধানের উদ্দেশে বলেন, জনশ্রুতি রয়েছে, এমন দুর্নীতিপ্রবণ ২৮টি দপ্তরে দুর্নীতির কুখ্যাতি রয়েছে—এমন কর্মকর্তাদের গতিবিধির ওপর নজর রাখতে হবে। তাঁরা যেন ঘুষ খাওয়ার সুযোগ ও সাহস না পান। তাঁরা যেন দুর্নীতি করার ধৃষ্টতা না দেখান। দুর্নীতি করলেই তাৎক্ষণিকভাবে আইনের প্রয়োগ করতে হবে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন কমিশনার মোজাম্মেল হক খান, দুদক সচিব মুহাম্মদ দিলোয়ার বখ্ত, মহাপরিচালক (মানি লন্ডারিং) এ এন এম আল ফিরোজ, মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) সাঈদ মাহবুব খান, মহাপরিচালক (প্রশাসন) জহির রায়হান, মহাপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও আইসিটি) এ কে এম সোহেল, পরিচালক মীর জয়নুল আবেদীন শিবলী, মঞ্জুর মোর্শেদ প্রমুখ।