প্রতিবন্ধী রাখালকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলায় প্রতিবন্ধী রাখালকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার রাতে একটি মামলা হয়েছে।

নিহত ব্যক্তির নাম মীর্জা গোলাম কিবরিয়া (৪৫)। তিনি উপজেলার মাজবাড়ি ইউনিয়নের মাজবাড়ি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।

এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম মঞ্জু শরীফ। তিনিও একই এলাকার বাসিন্দা। গোলাম কিবরিয়া মাসিক দেড় হাজার টাকার বিনিময়ে মঞ্জুর বাড়িতে রাখালের কাজ করতেন বলে জানা গেছে।

কিবরিয়ার স্ত্রী শাবানা বেগম বাদী হয়ে মঞ্জু শরীফের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। শাবানা বেগম অভিযোগ করেন, ‘আমার স্বামী এক পায়ে তেমন শক্তি পেতেন না। এ কারণে তিনি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারতেন না। এ জন্য মাত্র দেড় হাজার টাকার বিনিময়ে গরুর রাখাল হিসেবে মঞ্জুর বাড়িতে কাজ করতেন। গত বুধবার সকালে মঞ্জু আমার স্বামীকে বাড়ি থেকে ডেকে নেন। এরপর মঞ্জু তাঁকে খুব মারধর করেন। এতে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে উদ্ধার করে রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে তিনি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।’

মাঝবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান কাজী শরিফুল ইসলাম বলেন, প্রতিবেশী বাড়িতে রাখালের কাজ করতেন কিবরিয়া। তবে কিবরিয়া একটু রাগী প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। খোঁজ নিয়ে জেনেছি, গৃহকর্তা মঞ্জু শরীফের সঙ্গে কিবরিয়ার কথা-কাটাকাটি হয়েছিল। একপর্যায়ে কিবরিয়াকে লাঠি দিয়ে দুটি আঘাত করেছিলেন মঞ্জু। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

নিহত ব্যক্তির ভাতিজা মীর্জা জগলুল করিম সংবাদকর্মীদের বলেন, ‘শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী ছিলেন আমার চাচা। তিনি খুব নিরীহ প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তাঁকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে।’

রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের চিকিৎসা কর্মকর্তা রবিউল আজম বলেন, আজ শনিবার দুপুরে কিবরিয়ার মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষ হয়েছে। মরদেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন আছে।

কালুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল হাসান বলেন, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর কিবরিয়ার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। ঘটনার পর থেকে মঞ্জু শরীফ পলাতক। তাঁকে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে।